নিজস্ব প্রতিনিধি, বান্দোয়ান :
চোখের সামনে রয়্যাল বেঙ্গল ঝাঁপিয়ে পড়ল পোষা ছাগলের ওপর। ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ির কেটকিঝর্ণার জঙ্গলে ছাগল চরাতে নিয়ে গিয়েছিলেন স্থানীয় সিঙ্গাডোবা গ্রামের নমিতা মাহাতো। তার চোখের সামনে একটি ছাগলের ওপর চড়াও হয় জিনাতের আশিক। ভয়ে বাকি ছাগলগুলিকে নিয়ে জঙ্গল থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে আসেন তিনি।বেলপাহাড়ির বিডিও সুমন ঘোষ বলেন, “একটি ছাগলের দেহাবশেষ মিলেছে বলে শুনেছি। এ বিষয়ে বনদপ্তরের সঙ্গে কথা বলবো।” খবর পেয়ে ওই এলাকায় যায় বনদপ্তর। কিন্তু পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রাম দু’জায়গাতেই বনদপ্তর এ বিষয়ে কিছু জানাতে চায়নি। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জিনাতের আশিক সম্ভবত ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূমের কুকরু এলাকা হয়ে বান্দোয়ানে ঢোকে। তারপর রাইকা পাহাড়তলি দিয়ে ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি এলাকায় চলে যায়। এটাই তার করিডর! জানুয়ারি মাসের শেষ থেকে ওই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার দলমা পাহাড় এলাকাতেই ছিলো। গত ৩১ শে জানুয়ারি সকালে দলমা পশ্চিম রেঞ্জের তনকচা এলাকায় একটি গবাদি পশুর উপর হামলা করে একটি বাছুর খেয়ে নেয়। তারপর দলমা সন্নিহিত এলাকায় একাধিক বার তার পায়ের ছাপ মেলে। সেখানকার ট্র্যাপ ক্যামেরায় ছবিও ধরা পড়ে।
শুক্রবার সাতসকালে পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের পাটকিটা, রাইকা পাহাড়তলি এলাকায় ওই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের পায়ের ছাপ দেখা যায়। তারপর দুপুরের দিকে ঝাড়গ্রামে স্বচক্ষে তাকে দেখতে পেল গ্রামবাসীরা।
ফলে নতুন করে বান্দোয়ান- বেলপাহাড়িতে ট্র্যাপ ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। বান্দোয়ানের রাইকা পাহাড়তলি এলাকাতেও আবার নতুন করে ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানোর কাজ চলছে। গত দেড় মাসে ওড়িশার সিমলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্পের জিনাত ও তার টানে পালামৌ থেকে আসা ওই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের বেলপাহাড়ির ভুলাভেদা ও বাঁশপাহাড়ি রেঞ্জ-র জঙ্গলে
একাধিকবার পায়ের ছাপ মিললেও এই প্রথম ঝাড়গ্রামের এই এলাকায় কোনও গবাদি পশুর উপর হামলার ঘটনা ঘটল।






Post Comment