বিশ্বজিৎ সিং সর্দার, অযোধ্যা :
ঘুরতে এসে স্থানীয় খাবার না খেলে চলে? পুরুলিয়ায় এসেও তাই স্থানীয় খাবারের খোঁজ চালাচ্ছেন পর্যটকরা।

বাঙালির ঘোরাঘুরি বলতে দীপুদা ছিল একসময়। সেই দীঘা- পুরী- দার্জিলিংয়ের পাশে পুরুলিয়া ঢুকে পড়েছে নিজের সৌন্দর্য নিয়ে। দীপুদাপু নিয়ে বাঙালি কাটে ঘুরতে যাওয়ার টিকিট।

আর পুরুলিয়ার ভ্রমণ ডেস্টিনেশনে অযোধ্যা থাকে নির্ঘাৎ। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী যে আযোধ্যাকে রূপসী বাংলা আখ্যা দিয়েছেন সেই সুন্দরী অযোধ্যায় বেড়াতে এসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি অনেকেই খোঁজ করে থাকেন একটু নতুন ধরনের খাবারের। আদিবাসী অধ্যুষিত অযোধ্যায় পর্যটকদের মধ্যে দেশি খাবারের চাহিদা এখন তুঙ্গে। শহুরে চাইনিজ বা মোগলাই ফাস্টফুড নয়, পুরুলিয়ার চাপড়া পিঠে বা মুরগি মাংসর পিঠে আর দেশি মুরগির মাংস মানেই রসনা তৃপ্তির এক অন্য ঠিকানা। কিন্তু শহুরে খাবারের বিশ্বায়ন ঠেলে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে ওই সমস্ত খাবারকে। আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় এসে আদিবাসী ক্যুইজিন না পেয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করছেন পর্যটকেরা।
পর্যটক প্রিয়াঙ্কা বরুয়া, বিপুল পাল ও পূজা পাল বলছেন, আমরা যেখানেই যাই সেই এলাকার খাবার চেখে দেখি৷ পুরুলিয়া আসার আগে এখানকার স্থানীয় খাবারের কথা শুনেছিলাম। কিন্তু সেগুলো তো পাওয়া সহজ নয়। ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেন, বিরিয়ানি, মোমো, রোল, চাউমিন তো সর্বত্রই পাচ্ছি। এখানকার খাবার কোথায় পাব?

হোটেল ব্যবসায়ী অসীম সিং সর্দার বলছেন, “পুরুলিয়া বেড়াতে আসা পর্যটকেরা হোটেলগুলোতেও দেশি খাবার খুঁজছেন। রেস্তোরাঁগুলোতেও খোঁজ চলছে সেই সমস্ত খাবারের। যদি আগে থেকে অর্ডার দেয়া থাকে তাহলে রেস্তোরাঁর পক্ষ থেকে সেই সমস্ত খাবার তৈরি করে দেওয়া হয়, কিন্তু এই ধরণের দেশি খাবার তো আর রোল চাউমিনের মতো সহজলভ্য নয় কোথাও। “
নোলার টান ঘুরতে এসেও ভোলে না বাঙালি। তার রসনা তৃপ্তির সুযোগ কি দেবে পুরুলিয়া?
Post Comment