সঞ্জয় চৌধুরী, বরাবাজার :
আড়শার পর এবার টয়লেট কাণ্ড পুরুলিয়া জেলার বরাবাজার। সেখানে শৌচালয় নিয়ে ঘটলো এক অদ্ভুত কান্ড। দিনের আলো দেখলই না টয়লেটটি। ব্যবহারের আগেই ভেঙ্গে ফেলা হলো শৌচাগারটি। কালভার্ট তৈরি হচ্ছে বরাবাজার শহরে। হচ্ছে রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ। আর এই কাজের জন্যই ভেঙে ফেলা হলো একটি নব নির্মিত শৌচালয়। নির্মাণের পর কোন এক অজ্ঞাত কারণে শৌচালয়টি আর ব্যবহারই করা হয়নি। এবার রাস্তা সম্প্রসারণ করতে গিয়ে কোপ পড়ল শৌচালয়টির উপরে। আর তারপর থেকেই শুরু হয়েছে নানান বিতর্ক।
পুরুলিয়া জেলা আদালতের আইনজীবী বিজয় কুমার সিংহ দেব বলছেন, “সরকারি তহবিলের টাকায় তৈরি হয়েছিল শৌচাগার, কিন্তু তা ব্যবহার হলো না। তালা বন্ধ থেকে গেল। নির্মাণ হলো আবার ভেঙ্গে ফেলাও হলো। জনগণের টাকা হল অপচয়। যারা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
স্থানীয় বাসিন্দা তপন গঁরাই বলছেন, “এই এলাকায় একটি শৌচাগার হলে খুবই উপকৃত হবে কলেজ ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে বাসযাত্রী ও স্থানীয়রা। কিন্তু তার ব্যবস্থা হলো না। “
বিজেপি নেতা তথা ভারতীয় জনতা পার্টির বরাবাজার দু’নম্বর মন্ডলের সভাপতি নিশাপতি মাহাতোর অভিযোগ, “বরাবাজার ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিককে বিষয়টি অনেকবার জানানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি কোন জবাব দিতেই পারেননি। এই সমস্ত কিছুর সঙ্গে শাসক দলের জড়িয়ে আছে।”
সিপিআইএম দলের প্রাক্তন জেলা সম্পাদক মণীন্দ্র গোপ বলেছেন, “জল না থাকার কারণে এই শৌচাগার ব্যবহার হয়নি। রাজ্য জুড়ে চলছে কাটমানি কামানোর ধান্দা।তার জেরেও এই কাণ্ড হতে পারে। “
এদিকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বরাবাজার ব্লক সহ-সভাপতি উত্তম মিশ্রর দাবি, “রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ চলছে, তাই জনসাধারণের কথা মাথায় রেখে শৌচাগারটি ভাঙ্গা হয়েছে। রাস্তা নির্মাণের পরেই ওখানে শৌচাগার বানানো হবে।
বাইপাসে শৌচাগারটি কেন তালাবন্ধ ছিল তা জানেন না বরাবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি চিত্তরঞ্জন মাহাতো। তিনি বলেন, ২০২৫ সালে ওখানে একটি শৌচাগার তৈরি করা হবে।
যে এলাকায় শৌচালয় এতখানি প্রয়োজন সেখানে কেন শৌচালয় তৈরি হওয়ার পর ব্যবহার হলো না, আর কেনই বা শৌচালয় ভেঙে ফেলা হলো সেই নিয়ে তৈরি হচ্ছে নানান বিতর্ক। এই শৌচালয় কবে নির্মাণ হয় তারই অপেক্ষায় স্থানীয় মানুষ থেকে শুরু করে নিত্যযাত্রীরা।
Post Comment