insta logo
Loading ...
×

লা পাতা ছাগল, বাঘ আতঙ্কে হাতে লাঠি

লা পাতা ছাগল, বাঘ আতঙ্কে হাতে লাঠি

সুজয় দত্ত, বিশ্বজিৎ সিং সর্দার :

বাঘিনী জিনাতের আতঙ্কে শুনশান রাস্তা। সন্ধ্যাতেই নামছে গভীর রাতের অন্ধকার। নিভিয়ে দেওয়া হচ্ছে ঘরের আলো। ঘরে কি মানুষ আছে যাতে টের না পায় ওড়িশার সিমলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্প থেকে আসা বাঘিনী। আলো নেভালেও মানুষের গন্ধ লুকানো যাবে কীভাবে? তা অবশ্য ভেবে দেখেনি রাইকার পাহাড়তলির গ্রামগুলি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দেখা গেল এলাকার মানুষজন আত্মরক্ষার্থে লাঠি হাতে ঘুরছেন। বাঘ সামনে চলে এলে কী করবে সেই লাঠি? উত্তর অজানা।

আতঙ্কে একেবারে সিঁটিয়ে রয়েছে রাহামদা, উদলবনি, কেসরা, লেদাশোল, ঘাঘরা, কেন্দাপাড়া, পোপো। জিনাতের ছাগল শিকারের আগে আতঙ্ক কিন্তু ছিলই না। বাঘ আসায় এলাকার সুনাম বাড়বে, এমন কথা জনে জনে বলেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে রাইকা পাহাড়ের টিলা ঝাঁঝা-ভাঁড়রি থেকে একের পর এক মৃত ও জখম ছাগল উদ্ধার হতেই ছবিটা পাল্টাতে থাকে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে রাহামদা গ্রামের শবর টোলা জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরও আতঙ্ক কাটেনি।রাহামদা- লেদাশোল, লেদাশোল-ঘাঘরা রাস্তায় দিনের বেলাতেও মানুষজনের যাতায়াত কমে গিয়েছে। শুনশান ঝাঁড়া-ভাঁড়রি টিলা ও রাইকা পাহাড়ের মাঝে থাকা রাস্তাও। গ্রামবাসীরা বলছেন, ” জানি না গ্রামে বাঘিনী ঢুকে গেলে কী হবে? জাল কি বাঘকে আটকাতে পারবে? “

কথায় বলে বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা। সেই আঠারো ঘায়ের যন্ত্রণা নিয়ে আতঙ্কে রাইকা পাহাড়ের পাদদেশ।
বুধবার সকাল পর্যন্ত ২০ টি ছাগলের খোঁজ মেলেনি। তবে যাদের যাদের ছাগল বাঘিনীর হামলার শিকার হয়ে মারা গিয়েছে বা জখম হয়েছে তাদের দ্রুত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছে বন দফতর।

Post Comment