দেবীলাল মাহাত, আড়শা:
একসময় ডায়েরি বা নোটবুক ছিল মানুষের চলার সঙ্গী। নিজের মনের অনুভূতি লিখে রাখার অন্যতম মাধ্যম। তবে সময়ের সাথে সাথে তার রূপ বদলেছে। চলমান যুগে জীবনের ছোট ছোট অভিজ্ঞতা আমরা তুলে রাখছি ফেসবুক ,ইনস্টাগ্রামে। কমে আসছে লেখার অভ্যাস। তাই ডায়েরি বা নোটবুক এখন অতীত। নিজের মনের অনুভূতির কথা, খাতার পাতায় লেখার অভ্যাস ফিরে আসছে আড়শা ব্লকের বিডিওর হাত ধরে। মানুষের মন বোঝার জন্য তিনি খুলেছেন ‘মনের পাতা ‘। সেই পাতায় লিখতে পারবেন, আপনার মনের অনুভূতির কথা।
অযোধ্যার পাদদেশে চারিদিকে সবুজের সমারোহের মাঝে আড়শা ব্লক। এই ব্লকের বিডিও পদে যোগ দিয়েছেন গোপাল সরকার। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই এলাকার মানুষের মন বোঝার চেষ্টা করছেন তিনি। পেশাগত দায়িত্ব সুনামের সঙ্গে পালন করে, মিশে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। প্রত্যন্ত গ্রামের দুয়ার দুয়ারে গিয়ে সমস্যার কথা শুনছেন এবং প্রতিকারের চেষ্টা করছেন। কয়েক দিন ধরেই সাধারণ মানুষ তার কাছে অভাব, অভিযোগ নিয়ে গেলেই ,তা শোনার পর তাদের হাতে ধরিয়ে দিচ্ছেন চকলেট। আন্তরিকতা দেখে সমস্যার কথা নির্ভয়ে সকলে খুলে বলতে পারেন ।
এবার তিনি ব্লকের সাধারণ মানুষের জন্য খুললেন ‘ মনের পাতা ‘।
কী সেই মনের পাতা? বিডিও গোপাল সরকার জানান, “ব্লকে এসে নিজের অনুভূতি লিখে রাখার এক মাধ্যম। যে কেউ ‘মনের পাতা’তে নিজের সমস্যা ও অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করতে পারবেন। ব্লকের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ ব্লক কার্যালয়ে পরিষেবা নিতে আসেন। পরিষেবা নিতে এসে কেমন লাগলো? পরিষেবা ঠিকঠাক পাওয়া যায় কিনা? পরিষেবা নিতে এসে ব্লকের আধিকারিকেরা কেমন ব্যবহার করেছেন? সমস্যার সমাধান কত দিনে হলো? ব্লকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও উন্নয়ন কীভাবে করা যায়? এই সব প্রশ্নের উত্তর তারা যদি’ মনের পাতা’তে লিখে যায়, তাহলে আমাদের মূল্যায়ন করতে সুবিধা হবে। পর্যালোচনা করা সম্ভব হবে। পর্যালোচনা করে ব্লকের মানুষকে আমরা আরও ভালো পরিষেবা দিতে পারবো। তিনি আরও জানান,নিজের ভাবনাকে অন্যের কাছে পৌঁছে দেওয়াও একটা শিল্প । সেই কারণেই ‘মনের পাতা ‘খোলা হয়েছে। বিডিওর এমন অভিনব উদ্যোগে খুশি আড়শা ব্লকের মানুষ। ‘মনের পাতা ‘তে তারা লিখছেন তাদের মনের অনুভূতির কথা। হাতের লেখাও যে মনের কথা বলে।
Post Comment