insta logo
Loading ...
×

বাড়িতে বসেই আয় হাজার হাজার! নাকি প্রতারণার ফাঁদ!

বাড়িতে বসেই আয় হাজার হাজার! নাকি প্রতারণার ফাঁদ!

দেবীলাল মাহাত, আড়শা :

বাড়িতে বসেই আয় হবে হাজার হাজার টাকা। এর জন্য করতে হবে কাজুবাদাম, কিসমিসের প্যাকেট। আড়শা ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে এই ভাবেই মহিলাদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ফটোকপি সহ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিভিন্ন তথ্য। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন গ্রামবাসীদের একাংশ। বাড়িতে বসেই রোজগারের আশায় নথি জমা পড়ার হিড়িক পড়েছে গ্রামে গ্রামে। মহিলাদের ব্যক্তিগত গুরুত্বপূর্ণ নথি চলে যাচ্ছে অন্যের কাছে। প্রশ্ন উঠছে, মোবাইলে ওটিপি জেনে প্রতারক গ্যাংয়ের কাছে প্রতারণার শিকার হবেন না তো গ্রামের মহিলারা।

কয়েক দিন ধরেই আড়শা ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে যাচ্ছেন একদল মহিলা। রোজগারের টোপ দিয়ে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড সহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করছেন। নেওয়া হচ্ছে মোবাইল নং। চাওয়া হচ্ছে কোথাও ৫০ তো কোথাও ১০০ টাকা। মাস খানেক আগে প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে ৭০০ করে টাকাও চাওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তার সাথে চলছে মহিলাদের গ্রুপ তৈরির কাজ। জমা নেওয়ার পর গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র কোথায় জমা করা হবে, সংস্থার নাম কী, কাজু কিসমিসের ফ্যাক্টরিই বা কোথায়, প্রতিটি গ্রামে এত পরিমাণ কাজুবাদাম, কিসমিস কোথা থেকে আসবে ,তা নিয়ে মহিলাদের কোনো কিছুই বিশদে জানানো হচ্ছে না । দেওয়া হচ্ছে না কোনো ফর্ম। শুধু বলা হচ্ছে ,কাজ দেওয়ার সময় জানিয়ে দেওয়া হবে। ব্লকের হাজার হাজার মহিলাদের কাছ থেকে নানা গুরুত্বপূর্ণ নথি এই ভাবে সংগ্রহ করাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।

বামুনডিহা গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা জানান, আমাদের বলা হয়েছে, বাড়িতে বসেই কাজুবাদাম, কিসমিস প্যাকেট করে জমা দিতে হবে। সারাদিনে যত বেশি প্যাকেট করতে পারবে,তার রোজগার তত বেশি হবে। এই জন্য গাড়িতে করে সবার বাড়ি পৌঁছে যাবে কাজুবাদাম, কিসমিস এবং পলিথিনের প্যাকেট। মাসের শেষে সবার একাউন্টে ২০০০-৩০০০ টাকা ঢুকে যাবে। আগে নথিপত্র জমা না দিলে,পরে আর নেওয়া হবে না। এই বিষয়ে বেলডি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গীতা রজক বলেন, এই বিষয়ে পঞ্চায়েত এসে কেউ কিছু জানায়নি। তবে কাউকে নথিপত্র দেওয়ার আগে ভেবে চিন্তে দেওয়া দরকার।
আড়শা ব্লকের বিডিও গোপাল সরকার জানান, এই রকম কোনো সরকারি নির্দেশিকা আমাদের কাছে নেই। কোনো সংস্থা যদি এই কাজ করে থাকে, বিষয়টি খোঁজ নিতে পুলিশকে বলা হবে।

এখনও টাটকা চিটফান্ডগুলির প্রতারণা। প্রায় প্রতিদিন জেলায় ঘটছে ওটিপি জেনে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাপিশের ঘটনা। এবার আড়ষায় নথিপত্র জমা দিয়ে প্রতারণার শিকার হবেন না তো মহিলারা? সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে এলাকায়।

Post Comment