দেবীলাল মাহাত, আড়শা :
টয়লেট এক প্রেম কথা নয়, টয়লেট ঘিরে দুর্নীতি কাব্য। কথা ছিল হবে কমিউনিটি টয়লেট। হয়েছে যাত্রী প্রতীক্ষালয়। সেখানে বাস না দাঁড়ালেও প্রতীক্ষালয়ের বাইরে হলুদ সাইনবোর্ডে লেখা, ‘কনস্ট্রাকশন অফ পাবলিক টয়লেট, ঝুঁঝকা নদীর ধার।’ আরেকটি কমিউনিটি টয়লেট নির্মাণের কথা ছিল ঝুঁঝকা শ্মশানে। কিন্তু সেখানে আরও বড়ো গরমিল।তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা সরকারি টাকায় নিজের খামারবাড়িতে বৈঠকখানা নির্মাণ করেছেন বলে অভিযোগ।
কমিউনিটি টয়লেট নির্মাণকে ঘিরে এই অভিযোগ পুরুলিয়ার আড়শা ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত হেঁশলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। অভিযোগ, কমিউনিটি টয়লেটের টাকা অন্য খাতে খরচ করে সরকারি বিধিভঙ্গ হয়েছে।
হেঁশলা গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝুঁঝকা নদীর পাশে মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে কমিউনিটি টয়লেট নির্মাণ হওয়ার কথা ছিল। ওই প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল দেড় লাখ টাকা। সেই টাকা অন্য খাতে খরচ করে সেখানে নির্মাণ করা হয়েছে যাত্রী প্রতীক্ষালয়।
অন্যদিকে আড়শা ব্লকের হেঁশলা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যা অঞ্জনা মাহাতো পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ২০২৩-২৪ অর্থ বর্ষে কমিউনিটি টয়লেটের জন্য বরাদ্দ করা ১ লাখ ২৬ হাজার ১৩২ টাকায় নিজের বাগানবাড়িতে বৈঠকখানা নির্মাণ করেছেন বলে অভিযোগ।
হেঁশলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দিবাঙ্গনা কুমার বলেন, “আমরা শৌচাগার নির্মাণ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এলাকার মানুষজনের প্রবল আপত্তিতে সেখানে যাত্রী প্রতীক্ষালয় করতে বাধ্য হয়েছি। আরেকটি ক্ষেত্রে ঠিক কী হয়েছে জানি না।খোঁজ নিচ্ছি।” তবে নির্মাণের পর যে নো অবজেকশন দেওয়া হয়েছিলো তা জানিয়ে দিলেন প্রধান। আড়শা ব্লকের বিডিও গোপাল সরকার বলেন, ” এলাকার মানুষজন কমিউনিটি টয়লেট করতে দেননি। তাই যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের বিষয়টি জানি। আরেকটি বিষয় নিয়ে আমি পঞ্চায়েতের কাছে রিপোর্ট চাইব।” অভিযোগে জড়িয়ে পড়া ওই তৃণমূলের সদস্যার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার খামার বাড়ির বৈঠকখানার বাইরেও হলুদ সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে, কনস্ট্রাকশন অফ পাবলিক টয়লেট, অ্যাট ঝুঁঝকা শ্মশান ঘাট। নিয়ার চেক ড্যাম।
বৈঠকখানা হয়ে গেল শ্মশান, না শ্মশান হয়ে গেল বৈঠকখানা? প্রশ্নের উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি। তবে খরচ হয়ে গেছে জনতার টাকা।
Post Comment