দেবীলাল মাহাত, আড়শা:
মাশরুম চাষে চাষিদের উৎসাহিত করতে এগিয়ে এলো আড়শা ব্লক উদ্যান পালন দপ্তর। আজ বুধবার পঞ্চায়েত সমিতির সভাকক্ষে ব্লকের ক্ষুদ্র কৃষকদের স্বাবলম্বী করে তুলতে একদিনের উদ্যানজাত ফসল ও মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ শিবির হয়। ওই প্রশিক্ষণ শিবিরের সূচনা করেন আড়শার বিডিও গোপাল সরকার।
মাশরুম খেতে যেমন সুস্বাদু , তেমনই মাশরুমের মধ্যে রয়েছে একাধিক পুষ্টি গুণ। স্বাস্থ্যের পক্ষে ভীষণ উপকারী। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদরা স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য খাবারের তালিকায় সবার আগে মাশরুম রাখার পরামর্শ দেন। তবে তা সবসময় নাগালের মধ্যে পাওয়া যায় না। আর সেই ছবির বদল ঘটাতেই , মাশরুম চাষে চাষিদের উৎসাহিত করার জন্য এগিয়ে এলো আড়শা ব্লক উদ্যান পালন দপ্তর। এদিন ব্লকের ৫০ জন কৃষককে হাতে- কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সাথেসাথে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় মাশরুমের বীজ , পুস্তিকা সহ অন্যান্য সামগ্রী।
আড়শা ব্লকের উদ্যান পালন দপ্তরের আধিকারিক শচীনন্দন মাঝি জানান, ” বেশ কয়েক বছর ধরেই ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় উদ্যান পালন দপ্তরের উদ্যোগে মাশরুম চাষ হয়ে আসছে। এই মুহূর্তে সবথেকে জনপ্রিয় ও লাভজনক চাষ হল মাশরুম। মাশরুম চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন বহু কৃষক। চাষের ক্ষেত্র আরও বাড়ানোর জন্যই প্রশিক্ষণ শিবির করা হয়।” এদিন মাশরুম সহ উদ্যানজাত ফসলের চাষের পদ্ধতি নিয়েও বিস্তৃত আলোচনা হয়। তবে বিশেষ করে মাশরুম চাষের উপকারিতা তুলে ধরা হয় কৃষকদের কাছে।
এদিন প্রশিক্ষণ শিবিরে ছিলেন, জেলা উদ্যান পালন দপ্তরের আধিকারিক কৃষ্ণেন্দু নন্দন, আড়শা ব্লকের বিডিও গোপাল সরকার, আড়শা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিশ্বরূপ মাঝি , আড়শা ব্লকের উদ্যান পালন দপ্তরের পরামর্শদাতা শচীনন্দন মাঝি সহ মাশরুম বিশেষজ্ঞরা।
Post Comment