নিজস্ব প্রতিনিধি, সাঁতুড়ি: প্রেমের সম্পর্ক থেকে বিয়ে। কিন্তু সেই প্রেম ভেঙে গেল দাবি মতো পণের টাকা না মেলায়। বিয়ের মাত্র ২৩ দিনের মাথায় নব বধূকে মারধর করে তাড়িয়ে দিল স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন। ভালোবাসার মানুষটির এহেন আচরণে তার বিরুদ্ধে মামলা করতে বাধ্য হন ওই নববধূ। নিতুড়িয়া থানার রানীপুর গ্রামের এই ঘটনায় নববধূর অভিযোগের ভিত্তিতে চারজনের বিরুদ্ধে মারধরের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে নিতুড়িয়া থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিয়ের আগে স্বামী-স্ত্রী-র মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দুই পরিবারের সম্মতিতে চলতি বছরের ২৩ শে জুলাই তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে পাত্রপক্ষের দাবি মত মেয়ের পরিবার ১ লাখ টাকা, নানান অলংকার দিয়ে মেয়েকে সাজিয়ে দেন। ফলে শান্তিতেই কাটছিল তাদের জীবন। কিন্তু এই ভালোবাসার সংসারে প্রতিবন্ধক হয়ে গেল অর্থ। ওই নববধূকে বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই তার বাপের বাড়ি থেকে আরও টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দিতে থাকেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলে অভিযোগ।
কিন্তু টাকা না নিয়ে আসায় শুরু হয় মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। এই সমগ্র ঘটনায় কোন কর্ণপাত করেনি বধূ-র ভালো লাগার মানুষটি।
ফলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ওই নববধূ। ফলে বাপের বাড়িতে জানাতে বাধ্য হন নির্যাতিতা। বধূ -র বাবা কয়েকবার জামাইকে বোঝান। কিন্তু তাতেও কোন কাজ হয়নি। অতিরিক্ত পণের দাবিতে অনড় থাকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। ১৫ ই আগস্ট ওই বধূকে তার স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদ মিলে টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দেয় বলে অভিযোগ। যা সহ্য করতে না পেরে ওই বধূ প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি বাপের বাড়িতেই রয়েছেন।
Post Comment