নিজস্ব প্রতিনিধি, আদ্রা : একদা রেল শহরের কুখ্যাত ‘ডন’ কুরবান আনসারীর খুনের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করল আদ্রা থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে , ধৃতদের নাম কওসর আনসারি, আকবর আনসারি, আসগর আনসারি, নয়ম আনসারি এবং জাকির আনসারি। তারা সকলেই কুরবান আনসারির প্রতিবেশী। তাদের বাড়ি আদ্রা থানার বেনেডালা গ্রামে।
প্রসঙ্গত , গত ৯ অক্টোবর খুন হন কুরবান আনসারী। তাকে সকালে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়। প্রায় ৫০-৬০ জনের গণপিটুনিতে খুন হয় এক সময়ের কুখ্যাত ওই ‘দুষ্কৃতি ‘ কুরবান। তবে গণপিটুনির কথা স্বীকার করেনি পুলিশ। পুলিশের দাবি, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আত্মীয়দের মধ্যে মতবিরোধ থেকেই এই খুন।
আদ্রার গগনাবাদের বেনাডালা গ্রামের বাসিন্দা কুরবান আনসারি বাম আমলে ছিল পুলিশের ত্রাস। এক সময় রেল শহর আদ্রার এক ব্যবসায়ীকে দিনে দুপুরে খুন করার ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়ে তার প্রথম কারাবাস। গত শতকের নয়ের দশকের এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল পুরো জেলায়। এরপর কাশীপুরে এক রেশন ডিলারের কাছে দাবি মত টাকা না পাওয়ায় শূন্যে গুলি চালিয়েছিল কুরবান। তৎকালীন কাশিপুর থানার ওসি মানিক কুইলা তাকে ধরতে বেনাডালা গ্রামে পৌঁছালে পুলিশের ওপরই কুরবান রিভলবার থেকে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। তবে গাছ থাকায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান ওসি। ওই ঘটনার ফলে এলাকার মানুষেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়লে ওই বেনাডালা গ্রামের পাশে খৈরনিতে ক্যাম্প বসায় পুলিশ। সেই সময় কাশিপুর থানার বহড় গ্রামের কৃষ্ণা মাহাতো নামে এক দুষ্কৃতিকে খুন করে নিজের দাপট বাড়িয়েছিল কুরবান। পুলিশ ক্যাম্পেও হামলা চালিয়েছিল কুরবান। পুলিশের তথ্য বলছে রেল শহর আদ্রায় বিভিন্ন গ্যাং ওয়ারে যুক্ত ছিল সে। সেই কুরবানের মর্মান্তিক পরিণতি। আর তারপরই একমাসের মাথায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ৫ জন।
মঙ্গলবার ধৃতদের রঘুনাথপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতদের ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
Post Comment