দেবীলাল মাহাত, পুরুলিয়া:
দীর্ঘদিন ধরে পুরুলিয়া ১ নম্বর ব্লকের গাড়াফুসড় গ্রাম থেকে কংসাবতী নদী পর্যন্ত রাস্তা বেহাল । খানাখন্দে ভরে গেছে সমস্ত রাস্তাটি। পিচ বলে কিছু নেই। বেরিয়ে পড়েছে বড় বড় পাথর। এদিকে রাস্তাটি এড়িয়ে যাওয়ার উপায়ও নেই। বেহাল রাস্তায় সমস্যায় পড়েছে আড়শা ব্লক ও পুরুলিয়া ১নং ব্লকের ৩০-৪০টি গ্রামের বাসিন্দারা। অবিলম্বে রাস্তাটির সংস্কারের দাবি তুলেছেন তারা। পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে তৎকালীন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো এই রাস্তাটির উদ্বোধন করেন। ২ কিমি রাস্তার জন্য বরাদ্দ করা হয় ৬৪ লাখ টাকা। তারপর এক দশক পেরিয়ে গেলেও আর কোনো রাস্তা সংস্কারের কাজ করা হয়নি। বেহাল হয়ে পড়েছে সমস্ত রাস্তাটি। পিচের আস্তরণ উঠে গিয়ে পাথর বেরিয়ে পড়েছে। পাথর ছিটকে হামেশাই ঘটছে দুর্ঘটনা। ফলে ক্ষোভ জমছে এলাকায়।এই রাস্তা দিয়েই আড়শা ব্লকের বেলডি, সিরকাবাদ, আড়শা গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষজন পুরুলিয়া ১নম্বর ব্লকের চাষ মোড়ে আসেন। ব্যবসা বানিজ্যের ক্ষেত্র চাষ মোড়। আড়শা ব্লকের চাষিরা এই রাস্তা ধরেই চাষ মোড়ে আসেন। তবুও রাস্তা সংস্কারে উদাসীন প্রশাসন। পথশ্রী, রাস্তাশ্রী প্রকল্পেও সংস্কারে স্থান পায়নি রাস্তাটি। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের প্রাক্তন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাত বাড়ি গাড়াফুসড় গ্রামে। ওই গ্রামেই থাকেন পুরুলিয়া ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদ্মাবতী মাহাত । গ্রামবাসীরা প্রশ্ন তুলেছেন রাস্তার হতশ্রী দশা তারা কি চোখে দেখতে পান না ? কাটাবেড়া গ্রামের মধুসূদন মাহাত,বামুনডিহা গ্রামের রামপদ মাহাত বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কার করা হয়নি। বিপদের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তার ওপর দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।” অবিলম্বে রাস্তাটির পূর্নাঙ্গ সংস্কারের দাবি তুলেছেন তারা।
Post Comment