নিজস্ব প্রতিনিধি, কোটশিলা:
সঙ্গে তিনশো বছরর ইতিহাস। সেই বেগুনকোদর রাস মন্দির বয়সের ভারে জরাজীর্ণ। রাস মেলার পবিত্র লগ্নে জাগলো আশার আলো। রাস মন্দিরকে নব রূপে তুলে ধরবে আর্কিওলজি এন্ড মিউজিয়াম। বেগুনকোদরকে তুলে ধরা হবে হেরিটেজ ট্যুরিজম হিসাবে। পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন বিশদে প্রকল্প রিপোর্ট পাঠিয়েছে। তাদের কাছে চাওয়া হয়েছে অনুমোদন। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৭৬ লাখ
৪২১৬ টাকা। আশার আলো দেখতে পেয়ে এবার বেগুনকোদরের রাস এআরও রঙিন। শনিবার এই রাসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাতো। চলবে ৫ দিন ধরে।
বেগুনকোদর রাস মন্দির ২৫০ বছরের প্রাচীন। বয়সের ভারে জরাজীর্ণ এই মন্দিরের করুণ দশা।
পুরুলিয়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) তথা জেলার পর্যটনের দায়িত্বে থাকা রাজেশ রাঠোর বলেন, “এই বেগুনকোদর রাস মন্দির সংস্কারের জন্য প্রকল্প রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত অনুমোদন মিলবে।”
বেগুনকোদরে একশো খোল বাজিয়ে শনিবার সন্ধ্যাবেলায় গ্রাম পরিক্রমা হলো। ভক্তদের কাঁধে রাধা কৃষ্ণের মূর্তি। বেগুনকোদর প্রতিপদে অতীতের নিয়ম মেনে রাস পূর্ণিমার সূচনা হয় । শ্রী শ্রী রাধা গোপীনাথ জিউ মন্দিরে পুজোর মধ্য দিয়েই শুরু হয় রাসযাত্রা। রাস উৎসবের অন্যতম কর্মকর্তা রাধেশ্যাম অধিকারী বলেন, পঞ্চকোট রাজ পরিবারের সঙ্গে যুক্ত জমিদার জগন্নাথ সিংহ এই রাস মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। বেগুনকোদরের জনবসতি পূর্ণ বাজারের মধ্যেই আড়াই হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে এই মন্দিরের অবস্থান। এখনও মন্দিরের শিল্পশৈলী চোখ ধাঁধিয়ে দেয়।
বেগুনকোদর রাস উৎসব উপলক্ষে পাঁচ দিনই হয় পুরুলিয়ার লোকশিল্প সমন্বিত নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রাস উৎসব দেখতে শুধু এলাকার মানুষ নন, ঝাড়খন্ড থেকেও মানুষজন আসেন।
Post Comment