নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া:
আর যেন না ঘটে আর জি করের মতো নৃশংস ঘটনা। মহিলা ডাক্তারদের পালটা মার দিতে শেখাচ্ছে পুলিশ। দুস্কৃতি হামলা করলে খালি হাতে লড়ে যাবে তারা। করবে আত্মরক্ষা। আর জি কর কাণ্ডের আবহে মেডিকেল পড়ুয়া থেকে চিকিৎসকদের সঙ্গে পুলিশের দূরত্ব বেড়েছিল। তাদের তরফ থেকে রীতিমতো নিশানা করা হয়েছিল পুলিশকে। এবার সেই পুলিশ-ই পুরুলিয়ার দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ডাক্তারি পড়ুয়া সহ মহিলা চিকিৎসক ও সেবিকাদের আত্মরক্ষার্থে ক্যারাটের পাঠ দেবে। পুরুলিয়া জেলা পুলিশের ‘শক্তি’ প্রকল্পে তাঁদের সুরক্ষায় এই পাঠদান। সম্প্রতি ওই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এই প্রকল্পের সূচনা করেন পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। সমগ্র রাজ্যের মধ্যে এই প্রথম কোন মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়া থেকে মহিলা চিকিৎসকদেরকে আত্মরক্ষার্থে ক্যারাটে শেখাবে। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ” এই প্রকল্প আমরা সামগ্রিকভাবে শুরু করেছি । এই কাজের মধ্য দিয়েই আমরা দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডাক্তারি পড়ুয়া ও চিকিৎসকদের আত্মরক্ষার্থে উদ্যোগ নিয়েছি। পুলিশ এবং ডাক্তার সমাজের বন্ধু। এই কাজের মধ্য দিয়ে একে অপরের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। তাছাড়া আত্মরক্ষার পাঠ শুধুমাত্র নিজের সুরক্ষার্থে নয়। জীবন দর্শনেরও বদল ঘটায়। “
মহালয়ার পর দেবীপক্ষে পুরুলিয়া বেলগুমা পুলিশ লাইনে এই ‘শক্তি’ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়েছিল। জেলার স্কুলের মেয়েদেরকে আত্মরক্ষায় ক্যারাটের পাঠ দেওয়া হচ্ছে। এবার দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সপ্তাহে দু’দিন করে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। জেলা পুলিশের এই উদ্যোগে খুশি ওই মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ সহ পড়ুয়ারা। ডাক্তারি পড়ুয়া সানা অসগর বলেন, “পুলিশের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয় । এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে আমরা আক্ষরিক অর্থেই সুরক্ষিত থাকবো বলে আমার মনে হয়। “
চলতি বছরের আগস্ট মাসে আরজিকর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এক ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে সমগ্র দেশকে। ওই ঘটনার পর রাজ্যের সমস্ত মেডিকেল কলেজ এমনকি সাধারণ হাসপাতালেও আলাদাভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু পুরুলিয়া জেলা পুলিশ যেভাবে মেডিকেল কলেজের পড়ুয়া থেকে মহিলা চিকিৎসকদেরকে আত্মরক্ষার্থে পাঠ দিচ্ছে তা অভিনব, বলছেন জেলার চিকিৎসক মহল। ওই মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. সব্যসাচী দাস বলেন, ” পুলিশের এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানাই। “











Post Comment