বিশ্বজিৎ সিং সর্দার, পুরুলিয়া:
বছর ১২-র আগের কথা। স্বপ্নাদেশে শহর পুরুলিয়ার সরকারপাড়ার রাজরাজেশ্বরীর পুজো শুরু হয়েছিল। সেই পুজো এবার মন্দির কমিটির আপত্তিতে কার্যত থমকে গিয়েছিল। মিলছিল না প্রশাসনিক অনুমতি। শেষমেষ এই পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা গৌতম রায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ায় আদালতের নির্দেশ মোতাবেক প্রশাসনিক অনুমতি মেলে। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে পুলিশ পাহারায় এখন পুজো হচ্ছে। এখানে একদিনেই সপ্তমী, অষ্টমী, নবমীর পুজো।
মা জগদ্ধাত্রীর স্বপ্ন পেয়েছিলেন এই পুজোর মূল আয়োজক গৌতম রায়। দেবী স্বপ্ন দিয়েছিলেন, সরকারপাড়া দুর্গা মন্দিরে দেবীর পূজো হচ্ছে। আর সেই পুজো করছেন তিনি। কালী পূজার পরের দিন এই স্বপ্ন দেখার পর মায়ের প্রতিমা তৈরি করতে হিমশিম খেয়ে যান। পরে তিনি জানতে পারেন ঝাড়খণ্ডের বোকারোতে সেরাবালির মূর্তি রয়েছে। তারপরে দ্রুত সেখানে যোগাযোগ করে ওখানকার শিল্পী সেই মূর্তিকেই জগদ্ধাত্রী অর্থাৎ রাজরাজেশ্বরী রূপ দেন। সেই সময় থেকেই এই পুজো হয়ে আসছে। পুজোর আয়োজক গৌতম রায় বলেন, ” রাজা কৃষ্ণচন্দ্র নিজের বাড়িতে যেভাবে জগদ্ধাত্রীর আরাধনা করতেন অর্থাৎ একই দিনে সপ্তমী, অষ্টমী, নবমীর পুজো l আমরাও একই রকম ভাবে এখানে পুজো করে আসছি।”
সিংহের ওপরে বসে থাকেন মা। সাজ-পোশাক একেবারে মহারানীর মত। মাথায় সোনার মুকুট, সীতাহার, হাতে নানা সোনার অলংকার। প্রায় ৫০ ভরি সোনায় মোড়া থাকেন মা। এই সরকারপাড়ার পুজোয় তখন থেকেই হয়ে আসছে কুমারী পুজো । ওই উমা কুমারীর পুজোতে নানান ভোগ দেওয়ার সঙ্গে ক্যাডবেরিও দেওয়া হলো।
Post Comment