অমরেশ দত্ত, মানবাজার:
এ যেন অবশেষে শীতের পরশ পুরুলিয়ায়! বলা যায় প্রাক শীত।স্বাভাবিকের থেকে কিছুটা দেরিতে হলেও। সোমবার একেবারে ভোর থেকেই কুয়াশার চাদরে মুড়ে যায় প্রায় সমগ্র জেলা। মানবাজার থেকে বাঘমুন্ডি।
পুরুলিয়া শহর থেকে নিতুড়িয়া। সাত সকালে ঘুম ভেঙেই দেখা যায় কুয়াশা ঘেরা সকাল। সবচেয়ে চেয়ে বেশি কুয়াশা নজরে পড়ে দক্ষিণ পুরুলিয়ায়। পথ-ঘাট মাঠ-প্রান্তর সবই ছিল কুয়াশায় মোড়া। এদিন পুরুলিয়ার সর্বনিম্ন ছিল ১৬.৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। সর্বোচ্চ ৩১ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। বৃষ্টি হয়নি।
পুরুলিয়ার আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আকাশে কিছু মেঘ রয়েছে। এই মেঘ কেটে গেলেই উত্তুরে হাওয়ায় শীত আসবে বঙ্গে। শীত আসবে পশ্চিমাঞ্চলে। আবহাওয়া বিজ্ঞান অনুযায়ী সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড হলে তাকে শীত বলে। ফলে একেবারে শীতের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে এই পাথুরে জেলা।
পশ্চিমাঞ্চলে বরাবরই শীত আগে আসে। বিশেষ করে ঝাড়খন্ড ছুঁয়ে থাকা এই পাথুরে জেলায়। বিগত কয়েকটা বছরে লক্ষ্মী পুজোর সময় থেকেই প্রাক শীতের পরিস্থিতি তৈরি হয়। কিন্তু এবার তা ছিল না। অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত শীত আসার ক্ষেত্রে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল নিম্নচাপ। এদিন সাত সকালে কুয়াশা দেখে শুধু জেলার শীতবিলাসী মানুষজন নন। প্রায় সকলেই
শীত শীত ভাব বা প্রাক শীতের আনন্দে মেতে ওঠেন।
ভালো হয়ে যায় মন।
আসলে শীত মানেই যে ঘুরে বেড়ানো। শীত মানেই যে নলেন গুড়। শীত মানেই যে বনভোজন। শীত মানেই যে কেক, প্যাস্ট্রি। শীত মানেই যে লেপ-কম্বলের আদর। পোড়া চায়ে আরও তৃপ্ত হওয়া। সেই সঙ্গে বড়দিন আর ইংরেজি নতুন বছর। তাই সকাল থেকে কুয়াশা দেখে প্রাক শীতেই ডুব দিল পুরুলিয়া।
ফি বছর লক্ষ্মী পূজোর সময় থেকেই পাখা বন্ধ করে দিতে হয়। হাতে পায়ে খড়ি ফুটে ওঠে। কিন্তু এবার এখনও সেই ছবি দেখা যায়নি। এসি বন্ধ হলেও, হয়নি বন্ধ পাখা।
তবে ভোরের দিকে পাখার সুইচটা বন্ধ করে পাতলা চাদর গায়ে নিতেই হচ্ছে। সবে মিলিয়ে প্রাক শীতের আবহে যেন আলাদা ছন্দে সুন্দরী পুরুলিয়া।
Post Comment