insta logo
Loading ...
×

পুরুলিয়া বাসস্ট্যান্ডের আগুনে ক্ষয়ক্ষতি ১৫ লাখ টাকা! বলছেন ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের মালিকরা

পুরুলিয়া বাসস্ট্যান্ডের আগুনে ক্ষয়ক্ষতি ১৫ লাখ টাকা! বলছেন ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের মালিকরা

নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া:

শহর পুরুলিয়ার বাসস্ট্যান্ডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ১৫ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা
প্রাথমিকভাবে পুরুলিয়া পুরসভাকে এই রিপোর্টই দিয়েছে। এই অগ্নিকাণ্ডে গুরুতর জখম হন ৫৫ বছরের জল বিক্রেতা ঝুমা গোপ। আরও এক জখম হোটেল কর্মচারী শেখ ছুটু চিকিৎসাধীন। রবিবার মধ্যরাতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে পুরুলিয়া
বাসস্ট্যান্ডে। বাসস্ট্যান্ডের কোর্ট লাগোয়া দিক থেকেই আগুনের সূত্রপাত বলে জানা গিয়েছে। তবে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারত।
মৃত্যুপুরী হয়ে যেত পুরুলিয়া বাসস্ট্যান্ড! কিন্তু ত্রাতার ভূমিকায় এগিয়ে আসেন এক হোটেলের রাঁধুনি হাঁড়িরাম মাহাতো। তিনি একে একে
পাশে থাকা হোটেলের যা একেবারে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে সেই কর্মচারীদের ঘুম থেকে তোলেন। আগুনে পুড়ে যাওয়া ওই মহিলাকে উদ্ধার করেন। পাশাপাশি দমকল বিভাগে খবর দেন।

খবর পেয়ে দ্রুত দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে পরে আরও দুটি ইঞ্জিন আনতে হয়। পুরুলিয়া সদর থানার পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজে হাত লাগায়। প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন পুরুলিয়া পুরসভার ৫ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা বাসস্ট্যান্ড স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য যথাক্রমে
বিভাসরঞ্জন দাস ও ফইজল কামাল শাহি। আগুনে বাসস্ট্যান্ডের পিছনে থাকা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভবনের দরজা-জানলাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ১১টি দোকানের মধ্যে রয়েছে একটি প্যাকেট হাউস, তিনটি হোটেল, দুটি ফলের পাইকারি দোকান, একটি ড্রাই ফুডের দোকান, দুটি খুচরো ফলের দোকান এবং একটি কাঠ ও পানীয় জলের স্টল।দোকান মালিকদের দাবি, তিন থেকে চার ঘণ্টার আগুনে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পুড়ে যাওয়া দুটি দোকান বাদে বাকি সবই ছিল ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলি পুরবিধি মেনে ছিল কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পাশাপাশি অভিযোগ উঠেছে কোনও দোকানেই অগ্নিনির্বাপণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না।
সোমবার বেলার দিকে পুরুলিয়ার পুরপ্রধান নবেন্দু মাহালি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ দুদিন পরেও জানা গেল না। উল্লেখ্য, পুরুলিয়া বাসস্ট্যান্ড শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। বাসস্ট্যান্ডের মালিকানা জেলাপ্রশাসনের হলেও দেখভালের দায়িত্ব পুরুলিয়া পুরসভার হাতে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজ্য সরকারের নির্দেশে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে পুরুলিয়া জেলায় একটি টাস্ক ফোর্স গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল জেলা পুলিশের তরফে। তার আগেই শহরের বুকে ঘটে গেল এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড।

Post Comment