insta logo
Loading ...
×

জন্ম শতবর্ষে গুরু দত্ত

জন্ম শতবর্ষে গুরু দত্ত

অমিতাভ মিশ্র

প্রধান শিক্ষক, গোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, মানবাজার ২
যোগাযোগ-৯৪৩৪৩০৪৮১৮
ই-মেইল-amitavamisra69@gmail.com

গোড়ার কথা

পরিচালক, অভিনেতা, কোরিওগ্রাফার, প্রযোজক, লেখক, চিত্র নাট্যকার ইত্যাদি নানান চরিত্রে সাবলীল ছিলেন ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের ক্ষণজন্মা প্রতিভা গুরু দত্ত। উদ্দীপনাময় চিত্রকল্প, বিষয় ভিত্তিক স্তর বুনন, উদয়শঙ্করের ছান্দিক অনুভূতির সফল প্রয়োগ, সুদক্ষ ক্যামেরা পরিচালনা, সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে কাহিনীকে অগ্রসর করা ইত্যাদি নানান কাজে গুরু দত্ত- র অসামান্য দক্ষতা এখনো দৃষ্টান্তস্বরূপ। তাঁর জীবনীকার ওসমান ইয়াসের মতে, ‘ চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, লেখক ও অভিনেতা হিসাবে, সামাজিক ও রোমান্টিক একটি নাটকের দলে, মেজাজে ও আলোকসজ্জার মত উপাদানগুলিতে তাঁর দক্ষতা তাঁকে বলিউডের স্বর্ণযুগের অন্যতম সেরা এবং সর্বাধিক দক্ষ স্টাইলিস্ট করে তুলেছিল।’ স্বাধীনতার অস্থির সময়েও সাধারণ মানুষের মনের কথাগুলিকে চিত্রায়িত করে স্বাধীনতা আন্দোলনের লড়াইয়ে নতুন বার্তা দিয়েছিলেন তিনি।

জন্ম বৃত্তান্ত
১৯২৫ সালের ৯ জুলাই বেঙ্গালুরু শহরের সারস্বত ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন বসন্ত রাও শিবশঙ্কর পাড়ুকোন। বাবা শিবশঙ্কর রাও পাড়ুকোন ছিলেন বর্মা সেলের করণিক এবং মা বাসন্তী দেবী লেখিকা হলেও পারিবারিক অর্থাভাব দূর করতে গৃহ শিক্ষকতা করতেন। বৃহস্পতিবারে জন্ম হয়েছিল বলে এবং শৈশবে দুর্ঘটনার কবলে পড়ার জন্য পরবর্তী কালে তিনি গুরু দত্ত হিসাবেই পরিচিত হয়েছিলেন। কারওয়ারে স্বপরিবারে বসবাস করতেন তাঁরা। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে গুরু দত্তই ছিলেন বয়:জ্যেষ্ঠ। বাঙালি নামের সাথে মিল ছিল বলেই জীবনের নানান ক্ষেত্রে বাংলার সংস্কৃতিকে জড়িয়ে ধরেছিলেন তিনি।

কলকাতায় আগমন
পারিবারিক অর্থভাবের জন্য গুরু দত্ত – র বাবা ও মায়ের মধ্যে প্রায়শই ঝগড়া লেগে থাকত। সন্তানদের সুশিক্ষিত করার অভিপ্রায়ে বাসন্তী দেবী তাদের নিয়ে কলকাতায় চলে আসেন। বাসন্তী দেবীর ভাই বি. পি. বেনেগাল ছিলেন তৎকালীন সময়ের বিখ্যাত কমার্শিয়াল আর্টিস্ট। ভাগ্না গুরু এবং ভাগ্নী ললিতাকে বড় করে তোলার দায়িত্ব নিয়ে ভবানীপুরের পদ্মপুকুরের একটি ফ্ল্যাটে তাদের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীকালে চক্রবেড়িয়ার এসটন রোডে স্বপরিবারে বসবাস শুরু করেন তাঁরা। শৈশব থেকেই কলকাতা সহ বাংলার সংস্কৃতি গুরু দত্ত-কে ভীষণ আকৃষ্ট করত। জীবনানন্দের কবিতা, শরৎচন্দ্রের উপন্যাস, তারাশঙ্কর ও বিমল রায়ের গল্প দিয়ে সিনেমা তৈরি করা ছিল সেই অনুভূতির প্রকাশ। ” পিয়াস ‘, ‘ সাহেব বিবি আউর গোলাম ” ছবিগুলিকে হাওড়া ও কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় দৃশ্যায়িত করেছিলেন তিনি।

শিক্ষার অঙ্গনে
কলকাতায় আসার আগে স্থানীয় একটি স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হলেও পড়াশোনায় ভীষণ অমনোযোগী ছিলেন গুরু দত্ত। মামার তত্ত্বাবধানে তিনি ভর্তি হলেন ডেভিড হেয়ার স্কুলে। ১৯৪১ সালে তিনি ম্যাট্রিক পাশ করলেন। প্রথাগত শিক্ষার পরিবর্তে খেলাধুলা, পায়রা ওড়ানো, ঘড়ি ওড়ানো, ছবি তোলা ইত্যাদি কাজে তাঁর আগ্রহ ছিল সর্বাধিক। মাতৃভাষা কোঙ্কনি ছাড়াও হিন্দি, ইংরেজি, বাংলা, উর্দু ইত্যাদি ভাষায় সাবলীল ছিলেন তিনি। জিনগত ভাবেই পড়াশোনার নেশা থাকায় আজীবন বিভিন্ন ভাষার বই পড়ে প্রচুর জ্ঞান সঞ্চয় করেছিলেন তিনি। তাঁর এই সঞ্চিত জ্ঞান ভান্ডার পরবর্তী কালে তাঁকে নানান ভাবে কর্মকুশলী হাতে সাহায্য করেছিল।

প্রারম্ভিক কর্মজীবনে
পারিবারিক অর্থাভাব দূর করতে মাত্র ১৬ বছর বয়সে লিভার ব্রাদার্স জুট মিলে টেলিফোন অপারেটর হিসাবে কাজ শুরু করলেন গুরু দত্ত। মাসিক ৪০ টাকা বেতনের এই চাকুরিতে বেশিদিন মন টিকল না তাঁর। মামার আর্থিক সহায়তায় আলমোড়াতে উদয়শঙ্করের নাচের স্কুলে ভর্তি হলেন তিনি। সেখান থেকে পুণের প্রভাত স্টুডিওতে ভি. শান্তরামের কাছে কাজ শিখতে গেলেন তিনি।এখানেই বন্ধুত্ব হল অভিনেতা দেব আনন্দ ও রেহমানের সাথে। বন্ধুত্বের শর্ত অনুযায়ী ১৯৫০ সালে দেব আনন্দের প্রযোজনা সংস্থা ‘ নবকেতন ‘ – এর দ্বিতীয় ছবি ‘ বাজি ‘ সিনেমায় পরিচালক হিসাবে নিযুক্ত হলেন গুরু। প্রতিদান হিসাবে ১৯৫৬ সালে ‘ ফ্লিমস লিমিটেড ‘ – এর সি. আই. ডি. ছবিতে নায়ক হিসাবে দেব আনন্দকেই তিনি বেছে নিয়েছিলেন।

পারিবারিক জীবনে
ফরিদপুরের জমিদার বাড়ির মেয়ে গীতা রায় চৌধুরী মাত্র ১৮ বছর বয়সেই প্রায় ৯০০ টি গান রেকর্ড করে বিখ্যাত হয়ে উঠেছিলেন। মধুকণ্ঠী এই গায়িকার প্রেমে পড়লেন গুরু। অসবর্ণ বিয়েতে আপত্তি থাকায় পরিবারের লোকেরা গীতার অন্যত্র বিয়ে দিতে তোড়জোড় শুরু করলে প্রেয়সীর টানে কলকাতায় এলেন তিনি। নিমরাজি গীতাকে রাজি করিয়ে ১৯৫৩ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন তাঁরা। লাল বেনারসি পরিহিতা গীতাকে, ধুতি – পাঞ্জাবি ও টোপর পরে বাঙালি মতে বিয়ে করলেন গুরু। রীতিমতো সেলিব্রিটি এই বিয়েতে গীতা বালি, লতা মঙ্গেশকর, মহম্মদ রফি, রুমা গুহ ঠাকুরতা, বৈজয়ন্তিমালা সহ অসংখ্য তারকা উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীকালে ওয়াহিদার কারণে এই দাম্পত্যে ফাটল ধরেছিল। তাঁরা আলাদা ভাবে বসবাস করলেও তাঁর ছবি ছাড়া অন্যত্র গান গাইবেন না বলে স্ত্রী হিসাবে গীতা যে কথা দিয়েছিলেন, তা তিনি মেনে চলতেন। চলচ্চিত্রে নারী স্বাধীনতার জয়গান গাইলেও পারিবারিক জীবনে গুরু দত্ত তা অনুসরণ করেন নি। কিন্তু দুই পুত্র আর কন্যার প্রতি আজীবন অপত্য স্নেহে আবদ্ধ ছিলেন তিনি।

চলচ্চিত্র জগতে
প্রভাত স্টুডিওতে কাজ শেখার সময়ে ১৯৪৬ সালে ” লক্ষারানি ‘ ছবিতে কোরিয়োগ্রাফার হিসাবে এবং ১৯৪৬ সালে ” হাম এক হ্যায় ‘ ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসাবে কাজ করার পরে গুরু দত্ত পাড়ি দিলেন মুম্বাইয়ে। দুই দিকপাল পরিচালক অমিয় চক্রবর্তী – র ‘ গার্লস স্কুল ‘ ছবিতে এবং জ্ঞান মুখার্জী – র ” সংগ্রাম ‘ ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসাবে কাজ করলেন তিনি। তাঁর পরিচালিত প্রথম ছবি ” বাজ ” ফ্লপ করলেও জনি ওয়াকার (কৌতুকাভিনেতা), ভি. কে. মূর্তি (সিনেমাটোগ্রাফার), আবরার আলভী (লেখক ও পরিচালক), রাজ খোসলা (লেখক), ওয়াহিদা রহমান (অভিনেত্রী) ইত্যাদিদের নিয়ে একটি দল গড়ে তুলেছিলেন তিনি। ‘ আর পার ‘(১৯৫৪), ” মিস্টার এন্ড মিসেস ‘(১৯৫৫), ‘ সি আই ডি ‘(১৯৫৬), ‘ সৈলাব ‘ (১৯৫৬), ‘ পিয়াসা ‘(১৯৫৭) এই পাঁচটি ছবি পরিচালনা করার পাশাপাশি তিনটি ছবিতে নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন গুরু দত্ত। ১৯৫৯ সালে ” কাগজ কি ফুল ‘ সিনেমাটি এ দেশের মধ্যে প্রথম সিনেমাস্কোপে নির্মিত হলেও প্রায় ১৭ কোটি টাকা লোকসান হয়েছিল। নিজেকে অভিশপ্ত মনে করে আর কোনো ছবিতে পরিচালক হিসাবে নাম ব্যবহার করেন নি তিনি।

নিবেদিত কর্মপ্রাণ
গুরু দত্ত – র সহকারী ভি. কে. মূর্তি স্মৃতিচারণায় উল্লেখ করেছেন, ‘ গুরুর চিত্রগ্রহণের পদ্ধতি ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা ছিল অসামান্য। ক্যামেরার কাজে হলিউডের প্রায় নিখুঁত, ঝকঝকে ভাবটি তিনি পছন্দ করতেন। ‘ ‘ কাগজ কা ফুল ‘ সিনেমার কাজকে আরো নিখুঁত করতে বিশেষ প্রকৌশল শেখার জন্য মূর্তিকে তিনি বিদেশে পাঠিয়েছিলেন। মেলোড্রামার ব্যবহার, প্যানোরোমিক ফোকাস, ছক ভাঙা ফ্রেমের ব্যবহারে তাঁর কাজ ঋত্বিক ঘটকের সাথে তুলনীয়। আলো – ছায়ার জটিল নকসা, গা ছমছমে আবহ সঙ্গীত, ধূসর চরিত্রাবলী দিয়ে ভীতিপ্রদ আবহাওয়া তৈরি করে ভারতীয় সিনেমায় যে ‘ ফ্লিম নয়ার ‘ স্টাইল শুরু হয়েছিল, সেই থ্রিলার ছবিতেও বাজিমাত করেছিলেন গুরু। ‘ বাজি ‘, ‘ জাল ‘, ‘ বাজ ‘ এই তিনটি ছবিকে থ্রিলার ছবি বানানোর ফলে সেগুলি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। ‘ পিয়াসা ‘এবং ‘ কাগজ কা ফুল ‘ সিনেমা দু’টিতে বিষন্নতার অন্তর্মুখী ও কাব্যিক চিত্রায়নের জন্য গুরু দত্ত আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

সাফল্যের শিখরে
১৯৬০ সালে তাঁর স্টুডিওতে এবং এম. সাদিকের পরিচালনায় নির্মিত ‘ চৌধ্বিন কা চাঁদ ‘ সিনেমাটি ব্যাপক সাফল্য পায়। ওয়াহিদা ও রেহমান অভিনীত এই ছবিটি গুরু দত্তর যাবতীয় ক্ষতি পূরণ করে দেয়। ১৯৬২ সালে ‘ সাহেব বিবি গোলাম ‘ ছবিটি পরিচালনা করে আবরার আলভী শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার পান। এই ছবিতেও মীনাকুমারীর সাথে অভিনয় করেছিলেন গুরু। ১৯৬৪ সালে তাঁর শেষ ছবি ‘ সাঁঝ আউর সাভেরা ‘ ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন হৃষিকেশ মুখার্জী। তাঁর অসম্পূর্ণ ছবি ” লাভ এন্ড লাভ ‘ ছবিটি সঞ্জীব কুমার, ” বাহেরিন ফির ভি আয়েঙ্গে ‘ ছবিটি ধর্মেন্দ্র সম্পূর্ণ করলেও ” পিকনিক ‘ ছবিটি অসমাপ্ত থেকে যায়। ১৯৬৬ সালে তাঁর স্টুডিও থেকে শেষ ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল।

সম্মাননার অলিন্দে
জীবন্দশায় উপযুক্ত সম্মান না পাওয়ার আক্ষেপ আজীবন গুরু দত্তকে কষ্ট দিয়েছে। ১৯৬৩ সালে বাংলা চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি তাঁকে হিন্দি সিনেমার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার দেয়। ঐ বছরই তাঁর ‘ সাহেব বিবি গোলাম ‘ ছবিটি দশম ফ্লিম ফেয়ারে ‘ শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার ‘ এবং দশম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মঞ্চে ‘ শ্রেষ্ঠ হিন্দি ভাষার পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবি ‘ হিসাবে পুরস্কৃত হয়। ২০০৪ সালে ডাক বিভাগ তাঁকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ডাক টিকিট প্রকাশ করে। ২০১৩ সালে দূরদর্শনে তাঁর জীবনী নিয়ে তথ্যচিত্র দেখানো হয়। ১৯৯৩ সালে নাসরিন মুন্নি ‘ গুরু দত্ত, সিনেমায় জীবন ‘ এবং ‘ তোমার গুরু দত্ত ‘ শীর্ষক বই দু’টি লেখেন। ২০০৮ সালে আবরার আলভী ‘ গুরু দত্তের সাথে দশ বছর ‘ এবং ২০২১ সালে ইয়াসের ওসমান ” গুরু দত্ত, একটি অসমাপ্ত গল্প ‘ বইয়ের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।

জীবন সায়াহ্নে
ওয়াহিদা রহমানের সাথে গুরু দত্ত -র প্রেমকে কেন্দ্র করে স্ত্রী গীতার সাথে অশান্তি চরমে পৌঁছেছিল। বার বার চেষ্টা করেও তিনি তাঁর মা,ভাই, বোন বা বন্ধুদের কাছে নিজের ডিপ্রেশনের কথা বলতে পারেন নি। ঘটনার দিনে স্টুডিওর কাজ প্যাক আপ করে নিজের ভাই ও ছেলেদের সাথে ঘুড়ি ওড়ানোর পর তাদের জন্য জামা কাপড় কিনে গীতার কাছে পাঠিয়ে দিলেন তিনি। বন্ধু আবরার আলভীর সাথে রাত পর্যন্ত আড্ডা দেওয়ার পর মাঝ রাতে স্ত্রীকে ফোন করে পুনরায় ছেলেদের কাছে পাঠানোর আবদার করলেন তিনি। পরের দিন সকালেই পাঠাবেন বলে জানালেন গীতা। রাতে অত্যধিক মদ্যপান করে এবং ঘুমের ঔষধ খেয়ে ১৯৬৪ সালের ১০ অক্টোবর আত্মহননের পথ বেছে নিলেন তিনি। দুঃখ ভাগের সমব্যথী বা মনোবিদের সাহায্য পেলে এই বিরল প্রতিভার অকাল মৃত্যু হয়তো আটকানো যেত।

শেষের কথা
ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসাবে তাঁর পরিচালনা, অভিনয়, নৃত্য নির্দেশনা, গল্প বলার ধরণ এখনো দর্শকদের গভীর ভাবে আলোড়িত করে। মাত্র দশ বছরের স্বল্প চলচ্চিত্র জীবন ৬০ বছর পরেও সিনেমাপ্রেমীদের কাছে চর্চার বিষয়। টাইম ম্যাগাজিনের ‘ সর্বকালের সেরা ১০০ ‘ চলচিত্রের তালিকায় তাঁর ‘ প্যায়াসা ‘ এবং ‘ কাগজ কা ফুল ‘ জায়গা পেয়েছে। ২০০২ সালে সাইট এন্ড সাউন্ড তাঁকে সেরা পরিচালক হিসাবে এবং ২০১০ সালে সি. এন.এন. সমীক্ষায় ” সর্ব কালের সেরা ২৫ এশীয় অভিনেতা ‘- র তালিকায় তাঁর নাম রেখেছে। এই প্রথিতযশা মানুষটিকে জন্ম শতবর্ষে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বিভিন্ন হলে তাঁর ছবি প্রদর্শিত হচ্ছে। আয়োজিত হচ্ছে স্মরণানুষ্ঠান ও আলোচনা সভা। আগামী প্রজন্মের কাছে গুরু দত্ত -র কাজগুলি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারলেই জন্ম শতবর্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন প্রাসঙ্গিক হবে।

( মতামত লেখকের নিজস্ব)

Post Comment