নিজস্ব প্রতিনিধি , পুরুলিয়া:
অভূতপূর্ব প্রশাসনিক পদক্ষেপ। পুরুলিয়া পুরসভাকে কার্যত কাঁপিয়ে দিয়েছে রাজ্যের নগরোন্নয়ন ও পৌর দপ্তরের এক শো-কজ। অভিযোগ— পুরবাসীর ন্যূনতম স্বাচ্ছন্দ্যেও নাকি উদাসীন কাউন্সিলাররা! তাই প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কেন ভেঙে দেওয়া হবে না পুরুলিয়া পুরসভার বোর্ড?
সূত্রের খবর, চলতি মাসের ৩ তারিখে শহরের বাসিন্দাদের গণস্বাক্ষর-সহ এক গুরুতর অভিযোগপত্র জমা পড়ে দপ্তরে। সন্ত্রস্ত নাগরিকেরা তাতে তুলে ধরেছেন নিকাশি ব্যবস্থার শোচনীয় অবস্থা, অনিয়মিত জল সরবরাহ, সাফাইয়ের অভাব এবং সর্বত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা আবর্জনার অভিযোগ। অনুসন্ধানে মিলেছে প্রমাণ, বলেই দাবি দপ্তরের।
তার পরেই পশ্চিমবঙ্গ পৌর আইন ১৯৯৩–এর ৪৩১(১) ধারার প্রয়োগ— এমন নজির বিরল। গত ১৯ নভেম্বর দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির সই করা আদেশনামা এসে পৌঁছেছে পুরুলিয়া পুরসভায়। বিধি মেনে প্রতিটি কাউন্সিলারের হাতে সেই চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে দেওয়া হয়েছে কারণ দর্শানোর নির্দেশ।
তারপরই তোলপাড় গোটা পুরসভা চত্বর। সূত্রের খবর— সোমবার বোর্ড অফ কাউন্সিলারের বিশেষ বৈঠক ডাকা হয়েছে। তারপরই যাবে তাঁদের পাল্টা জবাব।
তবে রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা। শাসক শিবিরেরই বেশ কিছু নেতা বলছেন, আসল নিশানা পুরপ্রধান নবেন্দু মাহালি! কারণ, তাঁর বিকল্প না থাকায় যদি তাঁকে সরাতে হয়, তবে বোর্ড ভেঙে প্রশাসক বসানো ছাড়া উপায় থাকছে না সরকারের। পুরপ্রধান অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটে আছেন— “কোনও মন্তব্য নয়,” সাফ জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে দপ্তরের শো-কজে স্পষ্ট ভাষায় সতর্কতা— শহরের রাস্তায় স্তূপ হয়ে থাকা আবর্জনা বিপজ্জনক। ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া বাড়তে পারে যেকোনও সময়। ফলে কার্যত মুখ পুড়ছে পুরুলিয়া পুরকর্তাদের।











Post Comment