insta logo
Loading ...
×

আড়াই মাস পর রহস্যভেদ! বলরামপুর পেট্রোল পাম্প ডাকাতির মূলচক্রী পুলিশের জালে

আড়াই মাস পর রহস্যভেদ! বলরামপুর পেট্রোল পাম্প ডাকাতির মূলচক্রী পুলিশের জালে

নিজস্ব প্রতিনিধি, বলরামপুর

দীর্ঘ আড়াই মাসের তল্লাশি, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাকিং— অবশেষে সফল বলরামপুর থানার পুলিশ। পেট্রোল পাম্পে অস্ত্র ঠেকিয়ে ডাকাতির ঘটনায় এক মূলচক্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের নাম মহাবীর কুমার সিং, বাড়ি ঝাড়খণ্ডের সেরাইকেল্লা খরসওয়া জেলার চান্ডিল থানার কুন্তি গ্রামে।
সোমবার ভোরে বলরামপুরের এক প্রান্তে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরতে দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ধীরে ধীরে উন্মোচিত হয় আগস্টের শেষ রাতে ঘটে যাওয়া চাঞ্চল্যকর ঘটনার পেছনের রহস্য। পরে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠান।

৩১ আগস্ট গভীর রাতে জাতীয় সড়ক ১৮-র মালতি এলাকার এক পেট্রোল পাম্পে পাঁচ দুষ্কৃতী মোটরবাইকে চেপে হানা দেয়। পাম্পকর্মীদের আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে মুহূর্তের মধ্যে তারা ৩৬ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন লুঠ করে পালিয়ে যায়। মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ঘটনাস্থল ছেড়ে ওই দল ঝাড়খণ্ডের দিকে চম্পট দেয় — পার হয়ে যায় বলরামপুর থানা এলাকার আন্তঃরাজ্য নাকা চৌকি।
এতেই শেষ নয়। ওই রাতেই বলরামপুর জাতীয় সড়কে এক পথচারীর কাছ থেকেও টাকা ছিনতাই করে তারা। ফলে এক রাতের ব্যবধানে দুটি দুঃসাহসিক ছিনতাই ঘটায় তোলপাড় হয়ে যায় এলাকা। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে সর্বত্র।

সিসিটিভি ফুটেজ ও মোবাইল টাওয়ার লোকেশন থেকে দুষ্কৃতীদের গতিবিধি শনাক্ত করা গেলেও দীর্ঘদিন তাদের অবস্থান অজানা ছিল। পুলিশের সূত্রে খবর, ঘটনার পর থেকেই মহাবীর পুরুলিয়াতেই আত্মগোপন করেছিল।
পুলিশি জেরায় ধৃত স্বীকার করেছে, ডাকাতির ছকটি তারই তৈরি, এবং পুরো অপারেশনের রেইকি ও পরিকল্পনা ছিল তার মস্তিষ্কপ্রসূত। তার সঙ্গে যুক্ত ছিল ঝাড়খণ্ড ও পুরুলিয়ার কয়েকজন সহযোগী।
তবে বড় প্রশ্ন রয়ে গেছে আড়াই মাস পর সে ফের বলরামপুরে ফিরল কেন? তদন্তকারীদের অনুমান, হয়তো আবারও এলাকায় নতুন কোনও অপরাধের ছক আঁকতেই সে ফিরে আসে। সেই সন্দেহ থেকেই তাকে নজরে এনে আটক করা হয়।

Post Comment