
দেবীলাল মাহাত, আড়শা:
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতেই দুর্গাপুজা শুরু হয়েছিল আড়শা ব্লকের মানকিয়ারী গ্রামের রাজপুত পরিবারে। প্রায় ৩০০ বছর আগে শুরু হওয়া সেই রাজপুতদের পুজো আজ সার্বজনীন। সেই পুজোয় প্রাচীন রীতি মেনে আজও মায়ের চরণে দেওয়া হয় ঘিয়ের পিঠে। সপ্তমী থেকে নবমী তিন দিনেই দেওয়া হয় ছাগ বলি। করা হয় মহিষ বলিও।
কথিত আছে , মধ্যপ্রদেশের ধারানগর থেকে এসে রাজপুতরা আড়শা ব্লকের মানকিয়ারী এলাকায় বসতি স্থাপন করেন। এই জন্য তারা কাশিপুরের পঞ্চকোট রাজ পরিবারকে মাসিক ১৫০ টাকা কর হিসাবে দিতেন। সেই সময় এলাকা ছিল ঘন জঙ্গলে ঢাকা। হিংস্র জীবজন্তুদের আনাগোনা।মূলত এলাকায় শান্তি বজায় রাখা ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতেই তৎকালীন রাজপুতরা মায়ের আরাধনা শুরু করেছিলেন।সেই থেকে আজও নিয়ম নীতি মেনে পুজো হয়ে আসছে আড়শা ব্লকের মানকিয়ারীর রাজপুত পরিবারে। বর্তমানে রাজপুত পরিবারের সদস্যরা বলেন, “আমরা ক্ষত্রিয় রাজপুত। আমাদের পূর্বপুরুষরা ধারাননগর থেকে এসে এখানে বসতি স্থাপন করেছিল। আজও ঐতিহ্য ধরে রেখে পুজো করে আসছি। তবে বলিদানের সময় আমাদেরকে অনেক সতর্ক ও সচেতন থাকতে হয়। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে এই পুজো শুরু হয়েছিল বলে কথিত আছে। তবে সেই সময় কোন বিপর্যয় হয়েছিল কিনা তা জানা নেই আমাদের।” বেশ কয়েক বছর আগে বলিদানের সময় এক অঘটন ঘটে। ধারালো তরবারির এক কোপে ছাগল বলি না হওয়ায় রীতি অনুযায়ী সেই ছাগলকে ঘি দিয়ে মাখিয়ে পোড়ানো হয়েছিল।
Post Comment