insta logo
Loading ...
×

সাত দিনে ঘর, না হলে আইনি ব্যবস্থা, রঘুনাথপুর পুরসভার মাইকিং ঘিরে চাঞ্চল্য

সাত দিনে ঘর, না হলে আইনি ব্যবস্থা, রঘুনাথপুর পুরসভার মাইকিং ঘিরে চাঞ্চল্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, রঘুনাথপুর:

টাকা পেয়েও আবাস যোজনার ঘর তুলছেন না উপভোক্তারা। তাই এবার কঠোর পথে হাঁটছে রঘুনাথপুর পুরসভা। মঙ্গলবার শহরজুড়ে মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সাত দিনের মধ্যে ঘর তৈরির কাজ শুরু না করলে নেওয়া হবে আইনি ব্যবস্থা। পুরসভার হিসেব বলছে, প্রায় তিনশো উপভোক্তা একাধিক কিস্তির টাকা পেয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত এক ইটও বসাননি।

পুরপ্রধান তরণী বাউরি বলেন, “পুরশহরে আবাস প্রকল্পের টাকা পেয়েও ঘর না তোলার ঘটনা অনেক। তিনশোরও বেশি উপভোক্তা রয়েছেন, যাঁরা একাধিকবার সতর্ক করার পরও কাজ শুরু করেননি। আমি নিজে বারবার এলাকায় ঘুরে তাঁদের সতর্ক করেছি। এবার চরম সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে মাইকিংয়ের মাধ্যমে। সাত দিনের মধ্যে ঘর তৈরির কাজ শুরু না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, আবাস প্রকল্পে প্রতি ঘরের জন্য সরকার দেয় মোট ৩ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা। উপভোক্তাকে দিতে হয় ২৫ হাজার টাকা নিজস্ব অংশ হিসেবে। প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী প্রথম কিস্তিতে ৪৫ হাজার, দ্বিতীয় কিস্তিতে ৯৬ হাজার এবং তৃতীয় কিস্তিতে ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। ঘর তৈরির অগ্রগতির উপর ভিত্তি করে বাকি টাকা ধাপে ধাপে মিটিয়ে দেওয়া হয়।

রঘুনাথপুরের ১ থেকে ১৩ নম্বর ওয়ার্ড জুড়ে ছড়িয়ে থাকা এই তিনশো উপভোক্তার মধ্যে অনেকেই কাজ না শুরু করার কারণ হিসেবে উল্লেখ করছেন নির্মাণ সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধিকে। এক উপভোক্তার কথায়, “বালি এখন সোনার দামে বিকোচ্ছে। অনেক সময় পয়সা দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না।”

তবুও পুর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, সরকারি টাকা নির্দিষ্ট প্রকল্পের জন্যই বরাদ্দ, তা অন্য কোনও খাতে ব্যবহার করা যাবে না। তাই বিলম্ব চললে আইনি পথেই এগোবে পুরসভা। রঘুনাথপুরের শিল্পাঞ্চলজুড়ে এখন প্রশ্ন একটাই — সাত দিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে, নাকি শুরু হবে আইনি অভিযান।

Post Comment