নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া :
বাংলায় রেল অবরোধে কড়া নজরদারি থাকলেও প্রতিবেশী ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশায় কুড়মি সমাজের আন্দোলন থামেনি। শনিবার সকাল থেকেই ধানবাদের চন্দ্রপুরা স্টেশনে অবরোধে বসেন আন্দোলনকারীরা। পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের ডুমরি, পরেশনাথ ও ওড়িশার ভঞ্জপুর স্টেশনও অবরুদ্ধ থাকে। এর জেরে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের একাধিক ট্রেনের গতিপথে বড়সড় প্রভাব পড়েছে।
রেল সূত্রে খবর, শনিবার অর্থাৎ ২০ সেপ্টেম্বরের যাত্রার ক্ষেত্রে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন করা হয়েছে।
প্রথমেই বাতিল করা হয়েছে ১৩৫০৪ হাটিয়া –বর্ধমান মেমু। ৫৩৩৪৮ বরোয়াডি – গোমো প্যাসেঞ্জার, ৫৩৩৫৭ গোমো – বরোয়াডি প্যাসেঞ্জার, ১৩৩৩১ ধানবাদ পাটনা ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস, ৫৩৩৩৯ চন্দ্রপুরা ধানবাদ প্যাসেঞ্জার, ৬৩৫৪২ গোমো – আসানসোল, ৫৩৩২৩ সিন্দ্রি টাউন – ধানবাদ প্যাসেঞ্জার এই ট্রেনগুলিও বাতিল করা হয়েছে।

অন্যদিকে ১৮০১৩ আদ্রা–বোকারো স্টিল সিটি এক্সপ্রেসকে অন্য পথে চালানো হচ্ছে। ১৩৩৫১ ধানবাদ–আলাপ্পুঝা এক্সপ্রেস সকাল ১১টা ৩৫ মিনিটের বদলে সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে ছাড়বে।
২২৩০৩ হাওড়া–গয়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস আসানসোল–ঝাঝা–কিয়ুল–গয়া পথে ডাইভার্ট হয়েছে। ০৯৪৩৮ শেয়ালদহ–গান্ধিধাম স্পেশাল এক্সপ্রেস একইভাবে আসানসোল –ঝাঝা– কিয়ুল–গয়া হয়ে চলবে।
শুধু তাই নয়, প্রভাব পড়েছে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের রুটেও। ১২০১৯ হাওড়া–রাঁচি শতাব্দী এক্সপ্রেসের যাত্রাপথ বদলে চালানো হচ্ছে আসানসোল–জয়চন্ডী পাহাড়–রাঁচি পথে। ১৩৩১৯ দুমকা–রাঁচি এক্সপ্রেসকে শনিবার বরাকর স্টেশনে গিয়ে শর্ট-টার্মিনেট করা হবে বলে জানিয়েছে রেল।১৩৫৫৩ আসানসোল–বারাণসী মেমু এক্সপ্রেস মুগমা পর্যন্ত গিয়ে থামছে, সেখান থেকেই ফের চালু হবে।
১৩৫০৩ বর্ধমান–হাতিয়া মেমু এক্সপ্রেস আসানসোল পর্যন্তই চলবে এবং আসানসোল থেকেই নতুন করে যাত্রা শুরু করবে।
এই অবরোধে কার্যত বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। বিশেষ করে ধানবাদ–রাঁচি ও হাওড়া–রাঁচি রুটের যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। রেল কর্তৃপক্ষ বিকল্প পথে কয়েকটি ট্রেন চালালেও যাত্রী ভোগান্তি কমছে না। অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে দূরপাল্লার যাত্রীরা।
Post Comment