insta logo
Loading ...

শূন্য অযোধ্যা, কোথা পর্যটক? মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের!

শূন্য অযোধ্যা, কোথা পর্যটক? মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের!

তাপস কুইরি , বাঘমুন্ডি :

গত বছরও পুজোর মরশুমে অযোধ্যায় হোটেলগুলি ছিল হাউসফুল। দী.পু.দা প্রেমী বাঙালির পর্যটন ডেস্টিনেশনে জুড়ে গিয়েছিল রূপসী বাংলা পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের নাম। তবে এবছর পুজোতেও সেভাবে দেখা মিলছে না পর্যটকদের। অন্যান্য বছরে তুলনায় এ-বছর বুকিং অনেকটাই কম রয়েছে অযোধ্যা পাহাড় ও পাহাড়তলির হোটেল রিসর্টগুলিতে। তাই মন ভার পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত হোটেল ব্যবসায়ীদের।
বৈচিত্রপূর্ণ পুরুলিয়া জেলা। জেলার আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নানান পর্যটন কেন্দ্র। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে এই জেলার রূপ পরিবর্তন হয়। তাই সুন্দরী অযোধ্যার রূপের টানে সারা বছরই পর্যটকেরা ছুটে আসেন এই জেলায়। ‌ পুজোর সময়তে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে যায় অযোধ্যা পাহাড়ে। এবছর অন্যথা হওয়ায় চিন্তিত হোটেল ব্যবসায়ীরা।

এ বিষয়ে বাঘমুন্ডি লজ ওনার এসোসিশেনের সম্পাদক সুজিত চন্দ্র কুমার জানান , পুজোয় আমরা যতখানি পর্যটকদের আগমনের আশা করেছিলাম, তেমন কিছু হবে না এবার।‌ এলাকার বড়ো বড়ো রিসর্টগুলির সঙ্গে সঙ্গে ছোট ছোট রিসর্ট-হোটেলগুলিতেও পর্যটকদের দেখা নেই।
হোটেল ব্যবসায়ী পার্থ সারথী সাহা বলেন , মনে হয়, রাজ্যে ঘটে যাওয়া আর জি করের ঘটনার কারণেও ব্যবসায় অনেকটা প্রভাব পড়েছে। এখনও পর্যন্ত পুজোয় কিছুটা বুকিং হয়েছে। এখনো অনেকটাই বাকি। অন্যান্য বছর পুজোর এক দুই মাস পূর্বে বুক হয়ে যায় কিন্তু এবছর এখনও সেটা দেখা যাচ্ছে না। আরও এক হোটেল ব্যবসায়ী নির্মল মাহাতো বলেন , পর্যটকদের সমস্ত দিক থেকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য আমরা সম্পূর্ণ রূপে প্রস্তুত। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই পরিমাণ পর্যটকদের দেখা মেলেনি। কমবেশি সারা বছরই পুরুলিয়ায় পর্যটকদের আনাগোনা থাকলেও পুজোর এই মরশুমে বাড়তি রোজগারের আশায় থাকেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। বিগত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে তারা দেখেছেন এই সময় অযোধ্যা পাহাড় ও পাহাড়তলীর হোটেল রিসর্টগুলি ফাঁকা থাকে না। কিন্তু এবছর এক প্রকার পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে অযোধ্যা পাহাড়। ‌ হতাশায় ভুগছেন ব্যবসায়ীরা।

Post Comment