insta logo
Loading ...
×

স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলায় কুপিয়ে খু.ন, যাবজ্জীবন স্বামীর

স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলায় কুপিয়ে খু.ন, যাবজ্জীবন স্বামীর

নিজস্ব প্রতিনিধি, রঘুনাথপুর :

স্ত্রীর সঙ্গে প্রতিবেশী যুবকের আলাপচারিতা। স্বামীর মনে দানা বাঁধে সন্দেহ। আর সেই সন্দেহই পরিণত হয় রক্তাক্ত হত্যাকাণ্ডে। দুই সহোদর ভাইকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় অবশেষে সাজা ঘোষণা করল পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর মহকুমা আদালত। অভিযুক্ত মন্টু বাউরিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি একাধিক ধারায় কারাদণ্ড ও জরিমানার সাজা শুনিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক প্রিয়জিৎ চট্টোপাধ্যায়।

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, রঘুনাথপুর পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁকড়া পাড়ার বাসিন্দা মন্টু বাউরি ২০২৩ সালের ১০ মে সন্ধ্যায় ধারালো ছুরি নিয়ে হামলা চালান দুই ভাই সুরজ ও প্রতীক বাউরির উপর। সে সময় তাঁরা বাঁকড়া পাড়ার হরিমন্দিরের সামনে বসে মোবাইল দেখছিলেন। প্রথমে সুরজকে আক্রমণ করলে ভাইকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন প্রতীক। তাকেও ছুরির কোপে গুরুতর জখম করেন মন্টু। ছেলেদের বাঁচাতে ছুটে এসে বাবাও আক্রান্ত হন। ধস্তাধস্তির মধ্যে অভিযুক্ত নিজেও জখম হন।

স্থানীয়রা তিনজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসক সুরজকে মৃত ঘোষণা করেন। খানিক পরেই মারা যান প্রতীক। বাবা বালি বাউরি ও অভিযুক্ত মন্টু হাসপাতালে ভরতি হন। ঘটনার পরদিনই খুন, খুনের চেষ্টা ও হামলার অভিযোগে রঘুনাথপুর থানায় মামলা দায়ের হয়। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর গ্রেফতার করা হয় মন্টুকে। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয় ব্যবহৃত ছুরিটি। পরে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় নমুনা।

রঘুনাথপুর থানার তৎকালীন সাব-ইন্সপেক্টর মুকুল কর্মকার মামলার তদন্তভার সামলান। ওই বছরই ৬ আগস্ট আদালতে চার্জশিট জমা পড়ে। ১১ অক্টোবর চার্জ ফ্রেম হয়। কোর্টে মোট ২৫ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। সব দিক খতিয়ে দেখে বিচারক মন্টুকে দোষী সাব্যস্ত করেন।

সরকারি কৌঁসুলি প্রবীর কুমার তিওয়ারি জানিয়েছেন, “যাবজ্জীবনের পাশাপাশি খুনের চেষ্টায় ১০ বছরের জেল, হামলার জন্য ৭ বছরের জেল, সঙ্গে জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত সাজা শুনিয়েছেন বিচারক।”

Post Comment