নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া:
সফটওয়্যারের জটিলতা, সাবসিডি বকেয়া, কর্মচারীদের দাবিদাওয়া— সব মিলিয়ে নানান সমস্যার সমাধান চেয়ে জেলা সমবায় দফতরে ডেপুটেশন দিল পশ্চিমবঙ্গ প্রাইমারি এগ্রিকালচার ক্রেডিট সোসাইটি পার্মানেন্ট এমপ্লয়িজ সংগঠনের পুরুলিয়া জেলা কমিটি। মঙ্গলবার সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলা সমবায় দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার অফ কো-অপারেটিভ সোসাইটিস (এআরসিএস)-এর কাছে লিখিতভাবে একগুচ্ছ দাবি জমা দেওয়া হয়।
সংগঠনের অভিযোগ, সম্প্রতি সমবায় সমিতিগুলিতে যে কেন্দ্রীয় সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে, তা নিয়ে বড়সড় সমস্যায় পড়েছেন কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘৩১ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত ডেটা আপলোড করা হলেও তার পরবর্তী প্রায় ১৮ মাসের তথ্য ম্যানুয়ালি ভরার ক্ষমতা নেই। এই সফটওয়্যার চালাতে গেলে সমিতিতে অতিরিক্ত লোকবল ও কোম্পানির সাপোর্ট চাই।’’ এ ছাড়া সি এস পি-সংযুক্ত সমিতিগুলির ক্ষেত্রে নতুন সফটওয়্যার ব্যবহারের অপশন না থাকায় সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা।
ডেপুটেশনে আরও বলা হয়েছে, বিগত দিনে এনসিডিসি থেকে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে (SHG) যে ঋণ দেওয়া হয়েছিল, তার সাবসিডি আজও মেলেনি। এর ফলে SHG-গুলি ক্ষুব্ধ হয়ে সমবায় থেকে মুখ ঘুরিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। দ্রুত সাবসিডি মেটানো এবং সি এস পি সাবসিডি প্রদান করার দাবি তোলেন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
কর্মচারীদের আর্থিক দাবিও উত্থাপন করা হয়েছে ডেপুটেশনে। দাবি করা হয়েছে— ৩১ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত সমস্ত কর্মচারীকে অ্যাডহক ভাতা দিতে হবে, বকেয়া অ্যাডহক পূজোর আগে পরিশোধ করতে হবে এবং স্থায়ীভাবে পেস্কেল চালু করতে হবে।
সংগঠনের দাবি, যদি দ্রুত সমস্যার সমাধান না হয়, তবে কর্মচারীদের পক্ষে নতুন সফটওয়্যার ব্যবহার বা নিয়মিত পরিষেবা দেওয়া কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে।
উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জেলা সম্পাদক কেপিসিং মাহাতো, রাজ্য কমিটির সহ সম্পাদক দীপঙ্কর কুমার এবং জেলার ১৯ ব্লকের ১০০জন কর্মচারী।
এই বিষয়ে জেলা সমবায় দফতরের আধিকারিকদের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।










Post Comment