insta logo
Loading ...
×

ফেসবুকে পুরুলিয়ার উন্নয়ন, সাংসদকে কটাক্ষ তৃণমূলের

ফেসবুকে পুরুলিয়ার উন্নয়ন, সাংসদকে কটাক্ষ তৃণমূলের

নিজস্ব প্রতিনিধি , পুরুলিয়া:

প্রতিমন্ত্রীর দোরগোড়ায় গিয়েও সন্তুষ্ট হলেন না। পূর্ণমন্ত্রীর দুয়ারে গিয়ে দরবার সেরে এলেন সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। মঙ্গলবার দিল্লিতে ক্ষুদ্র, ছোটো ও মাঝারি শিল্প দফতরের প্রতিমন্ত্রী শোভা করন্দলাজের সঙ্গে বৈঠক সেরে ফেলার পর বুধবার আবার হাজির হলেন ওই মন্ত্রকের পূর্ণমন্ত্রী জিতনরাম মাঝির দফতরে।

পুরুলিয়ার উন্নয়ন নিয়ে সাংসদের চিন্তাভাবনা সত্যিই একেবারে “দিল্লি-মুখী”। কখনও ভারী শিল্পের জন্য দরবার, তো কখনও ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য দফায় দফায় প্রস্তাব পেশ। তিনি জানিয়েছেন, পুরুলিয়ার তসর, ডোকরা, সাবাই ঘাস, বাঁশ ও কাঠের কারুকাজে আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছনোর সম্ভাবনা আছে। তার জন্য দিল্লির চেম্বারে চেম্বারে ঘোরাফেরা ছাড়া উপায় নেই।

জ্যোতির্ময়বাবুর দাবি, ‘‘আমার প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে পুরুলিয়ার হাজার হাজার পরিবার আত্মনির্ভর হবে।’’ তবে তৃণমূলের কটাক্ষ, এই আত্মনির্ভরতার পথ কি আদৌ পুরুলিয়ার মাঠঘাট ও কারখানা ঘুরে শুরু হবে, না কেবল দিল্লির এয়ারকন্ডিশনড দপ্তরে চা-আড্ডার ভাঁজেই আটকে যাবে— সেটাই দেখার বিষয়।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অবশ্য ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন বলেই দাবি সাংসদের। কিন্তু পুরুলিয়ার মানুষ এখন অপেক্ষায়— কবে সেই ইতিবাচক সাড়া গ্রামে গঞ্জে পৌঁছবে? তার আগে হয়তো সাংসদকে আরও দফায় দফায় দিল্লির করিডরে ঘুরতে দেখা যাবে।

চলতি বছরের শুরু থেকেই তিনি বারবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করছেন। তৃণমূলের খোঁচা, ‘‘পুরুলিয়ার উন্নয়ন এখন সাংসদের কাছে দিল্লির মন্ত্রীদের দপ্তরে দপ্তরে চা খেয়ে ছবি তুলে ফেসবুক পোস্ট করাতেই সীমাবদ্ধ।’’

Post Comment