নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝালদা
এই আধুনিক যুগে যেখানে ট্রেন, বাস, এমনকি বিমানে মাত্র কয়েক ঘণ্টায় পৌঁছনো যায় বাবাধাম দেওঘরে, সেখানে ভক্তির এক ব্যতিক্রমী উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন ঝালদা মহকুমার তিন যুবক। শিবভক্তি ও মনোকামনা পূরণের আশায় তাঁরা পাড়ি দিচ্ছেন প্রায় ১৯০ কিমি দীর্ঘ পথ ‘দণ্ডি’ দিয়ে— এক দুরূহ, কষ্টসাধ্য যাত্রা যা নিছক শারীরিক পরিশ্রম নয়, বরং অন্তরের একাগ্রতা ও আধ্যাত্মিক বিশ্বাসের প্রতিফলন।
এই তিনজন হলেন—ঝালদার ডুমুরডি গ্রামের সন্তোষ মাহাতো, কোটশিলার চেক্যা গ্রামের নরেন কুমার এবং রাহুল কুমার। তাঁদের কথায়, “নিজ নিজ মনোবাঞ্ছা পূরণের আশায় বাবার ডাকে সাড়া দিয়েই আমরা দণ্ডি দিচ্ছি।”

তুলিনের সুবর্ণরেখা ও সাপই নদীর সঙ্গমস্থলে স্নান সেরে শুরু হয়েছে তাঁদের যাত্রা। তারপর ঝালদার সেওয়াতি পাহাড় পেরিয়ে তাঁরা এগিয়ে চলেছেন ঝাড়খণ্ডের বোকার পথে। প্রতিদিন গড়ে ২-৩ কিলোমিটার করে দণ্ডি দিয়ে অগ্রসর হচ্ছেন তাঁরা। সময়সীমা ঠিক করেছেন তিন মাস—তার মধ্যেই পৌঁছে যাবেন ‘বাবা বৈদ্যনাথ’-এর ধামে।
এই তিন যুবকের একাগ্রতা, বিশ্বাস ও আত্মসমর্পণের মনোভাব প্রমাণ করে দেয়—ভক্তির পথ কখনও সহজ নয়, কিন্তু মন থেকে চাইলে কোনো পথই অতিক্রম করা অসম্ভব নয়।
তাঁদের যাত্রা যেন আজও মনে করিয়ে দেয়, প্রযুক্তি আর সুযোগের যুগেও ভক্তি এখনও কাঁধে নেয় ত্যাগ, সাধনা ও বিশ্বাসের ভার।
Post Comment