পুরুলিয়া মিরর ব্যুরো:
শহর পুরুলিয়ায় মহালয়ার ভোরে তর্পন সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে থাকবে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম। সেই সঙ্গে হবে মাইকিং। এবার আর পুরুলিয়ায় জলজ আগাছা ও কচুরিপানার মধ্যে তর্পন করতে হবে না। জেলার তিন পুর শহরেই তর্পণ করা জলাশয়গুলিকে সাফ-সুতরো করেছে পুর কতৃপক্ষ। যাতে তর্পন করতে সাধারণ মানুষজনের কোন সমস্যা না হয়। কাল বুধবার মহালয়ার দিন সকালে শহর পুরুলিয়ার সাহেব বাঁধ সহ যে জলাশয় গুলিতে তর্পন করা হবে সেখানে উপস্থিত থাকবেন পুরপ্রধান নবেন্দু মাহালি। পুরুলিয়া পুর শহরের মতো রঘুনাথপুর ও ঝালদাতেও তর্পণ করা জলাশয় গুলিকে পরিষ্কার করা হয়েছে। পুরুলিয়ার পুরপ্রধান নবেন্দু মাহালি বলেন, ” শহরের যে জলাশয় গুলিতে তর্পণ হয় সেগুলো পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে তর্পণ সম্পন্ন করতে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম থাকবে। ” রঘুনাথপুরের পুরপ্রধান তরণী বাউরি ও ঝালদার উপ-পুরপ্রধান সুদীপ কর্মকার বলেন, ” তর্পনে সাধারণ মানুষজনের যাতে কোনরকম কোন সমস্যা না হয়। সেই ব্যবস্থা আমরা করেছি।”
পুরুলিয়া পুর শহরের রাজা বাঁধ, বুচা বাঁধ, ভাটবাঁধ তর্পনের জন্য পরিষ্কার করা হয়েছে। আগেই কচুরিপানা পরিষ্কার করা হয় সাহেব বাঁধে। তবুও মঙ্গলবার সকাল থেকে বিশেষ নজর দিয়ে ওই জলাশয় সাফ-সুতরোর কাজ চলে। রঘুনাথপুরে তর্পণ হয়ে থাকে ভাগাবাঁধ, বারিক বাঁধ ও শালকা সংলগ্ন পুকুর ঘাটে। এবার অধিক বৃষ্টিপাত হওয়ায় ওই জলাশয়ের ঘাট গুলিতে আগাছা জন্মেছে। কয়েকদিন ধরেই রঘুনাথপুরের এই জলাশয় গুলিতে পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন চলে। ঝালদাতে তর্পণ হয় লিহির বাঁধ, মায়া সরোবর, সাহেব বাঁধ সহ একাধিক জলাশয়ে। এদিন এই জলাশয় গুলি পরিদর্শন করেন উপ-পুরপ্রধান।
Post Comment