নিজস্ব প্রতিনিধি , বলরামপুর :
আবারও পথদুর্ঘটনা ১৮ নম্বর জাতীয় সড়কের নামশোল এলাকায়। সোমবার বিকেল তিনটে চল্লিশ মিনিট নাগাদ প্রবল বৃষ্টির মধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে ঢুকে পড়ে জামশেদপুর থেকে বোকারো গামী একটি যাত্রীবাহী বাস।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসটি যখন নামশোলের কাছে পৌঁছায়, তখন বিপরীত দিক থেকে আসা একটি লরিকে পাশ কাটাতে গিয়ে সেটি পুলিশি ব্যারিকেডে ধাক্কা মারে। তার পরই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজা রাস্তার পাশের নরম মাটিতে ঢুকে যায় বাসটি। বরাত জোরে বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পান বাসে থাকা সমস্ত যাত্রী।
কয়েকজন যাত্রীর সামান্য আঘাত লাগলেও, গুরুতর চোটের খবর নেই। স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ‘‘বাসটির গতি খুব বেশি ছিল। রাস্তা ভিজে ছিল। এমন অবস্থায় সামান্য ভুলেই বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।’’
ঘটনার খবর পেয়ে বলরামপুর থানার ওসি সৌম্যদীপ মল্লিক বিপুল পুলিশবাহিনী নিয়ে পৌঁছে যান ঘটনাস্থলে। উদ্ধারকাজে হাত লাগান স্থানীয়রাও। বৃষ্টিকে তোয়াক্কা না করেই দ্রুত যাত্রীদের নিরাপদে বাইরে বের করে আনা হয়।
নামশোল এলাকায় বার বার দুর্ঘটনা ঘটায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। তাঁদের দাবি, ‘‘এই এলাকাকে অবিলম্বে ‘অ্যাক্সিডেন্ট প্রোন জোন’ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। ট্রাফিক নিয়ম কঠোর করতে হবে। ওয়ান ওয়ে পদ্ধতি চালু না করলে ভবিষ্যতে বড় দুর্ঘটনা অনিবার্য।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসটিকে রাস্তা থেকে সরিয়ে নিতে ইতিমধ্যেই উদ্ধারকারী গাড়ি ডাকা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একই সড়কে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়দের মতে, “শুধু পুলিশি ব্যারিকেড বসালেই হবে না, চালকদের গতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কড়া নজরদারি দরকার।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য চলতি বছরের ২০ জুন এই এলাকাতেই ট্রাকের সঙ্গে বরযাত্রী বোঝাই বোলেরো গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তার আগে ১৮ জুন নামশোল প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় একটি পোলট্রি বোঝাই ভ্যান ও একটি স্কুটির মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছিল এক ব্যক্তির। আহত হয়েছিলেন অপরজন।







Post Comment