insta logo
Loading ...
×

শিলান্যাসের ৯ বছর পরও সেতু হয়নি, কাঁসাই-র বুকে আবার অস্থায়ী সাঁকো

শিলান্যাসের ৯ বছর পরও সেতু হয়নি, কাঁসাই-র বুকে আবার অস্থায়ী সাঁকো

দেবীলাল মাহাত, আড়শা:

তিন বিধানসভার সংযোগস্থলে ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে শুরু হয়েছিল সেতু তৈরির কাজ । তারপর শিলন্যাসের পর পেরিয়ে গেছে নয়-
নয়টি বছর। কংসাবতী নদীর উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। ভোটের পর ভোট এসেছে। বারবার মিলেছে প্রতিশ্রুতি । সেতু আর তৈরি হয়নি। এই পরিস্থিতিতে গ্রামবাসীরা স্বেচ্ছাশ্রমে নিজেরাই তৈরী করলেন বাঁশের অস্থায়ী সাঁকো। রবিবার সেই সেতু খুলে দেওয়া হয় জনসাধারণের জন্য। একই সাথে ওই সাঁকো উৎসর্গ করা হল সেতু নির্মাণ সংগ্রাম কমিটির সদস্য আড়শা ব্লকের বামুনডিহা গ্রামের বাসিন্দা প্রয়াত রামপদ মাহাতোর নামে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় নদীর একপাশে পুরুলিয়া ১নং ব্লকের কাটাবেড়া,পটমপুটরা ,গাড়াফুসড়ো ,সিন্দরি, চিড়কা গ্রাম। অন্যপাশে আড়শা ব্লকের বামুনডিহা, তুম্বা, ঝালদা,কুদাগাড়া,জুড়াডি, কাঞ্চনপুর, মানপুর সহ একাধিক গ্রাম ।কাটাবেড়া-বামুনডিহা ঘাটে সেতুর দাবি দীর্ঘদিনের। সেই দাবি মেনে বিধানসভা ভোটের আগে কংসাবতী নদীর উপর পুরুলিয়া ১ নং ব্লকের কাটাবেড়া ও আড়শা ব্লকের বামুনডিহা ঘাটে সেতু তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল ।

সেতুর শিলান্যাস করেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিভাগের তৎকালীন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো ।পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ থেকে বরাদ্দ করা হয় ৯কোটি ২৪লক্ষ টাকা।কাজের দায়িত্ব পায় ম্যাকিনটস বার্ন লিমিটেড।কাজের সময় সীমা ছিল দুবছর। প্রথম এক বছর দ্রুতগতিতে কাজ হলেও ২০১৭ সালের জুলাই মাস থেকে অজ্ঞাত কারনে থমকে যায় সেতু তৈরির কাজ।তারপরেই শেষ হয়ে যায় কাজের দফারফা। মাঝপথে সেতুর কাজ থমকে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছে তিনটি বিধানসভার প্রায় ৫০হাজার মানুষ। সেতু তৈরি না হওয়ায় নদীর দুপারের বাসিন্দারা স্বেচ্ছায় নিজেরাই শ্রম দিয়ে এক সপ্তাহ ধরে নির্মাণ করেন বাঁশের এই অস্থায়ী সেতু। সেই সেতু রবিবার খুলে দেওয়া হল জনসাধারণের জন্য। স্থানীয় বাসিন্দা কাটাবেড়া গ্রামের মধুসূদন মাহাত, তুম্বাঝালদা গ্রামের চিত্তরঞ্জন মাহাত জানান, ” সেতু নির্মাণ সংগ্রাম কমিটির সদস্য রামপদ মাহাত সদ্য প্রয়াত হয়েছেন। তার মৃত্যুতে আমরা গভীর শোকাহত। তাই এবছর সেতুটি প্রয়াত রামপদ মাহাতোর নামে নামে উৎসর্গ করা হল। আমাদের সেতুর দাবি প্রশাসন পূরন করবে এই আশা রাখি। “

Post Comment