insta logo
Loading ...
×

পুজোর ঢাকে কাঠি রথেই! নীলকণ্ঠের বাড়িতে শুরু পুজোর আখ্যান

পুজোর ঢাকে কাঠি রথেই! নীলকণ্ঠের বাড়িতে শুরু পুজোর আখ্যান

সুইটি চন্দ্র, পুরুলিয়া:

রথযাত্রার দিনে শুরু হয়ে গেল দুর্গাপুজোর প্রতিমা তৈরির প্রথাগত কাজ। পুরুলিয়া শহরের নামোপাড়া অঞ্চলের স্বাধীনতা সংগ্রামী নীলকণ্ঠ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির পারিবারিক দুর্গাপুজোয় এ দিনই প্রতিমায় মাটি দেওয়া হয়। এ এক পুরোনো রীতি, যা প্রায় দেড় শতাব্দী ধরে চলে আসছে। ঐতিহ্যমন্ডিত এই পুজো শুধু পারিবারিক নয়। বরং পুরুলিয়ার সংস্কৃতির অন্যতম পরিচয় বহন করে।
চট্টোপাধ্যায় পরিবারের দাবি, রথযাত্রার দিনকে ‘শুভ সূচনার তিথি’ হিসেবে মানা হয়। এই দিন থেকেই শুরু হয় মায়ের প্রতিমা নির্মাণ। আজকের পুজো হলেও, এর শিকড় প্রোথিত বহু পুরনো ইতিহাসে।

১৯৩০ সালে মন্দিরটি নির্মিত হলেও তার অনেক আগে থেকেই ওমরারগড়ে পুজো হতো। সেই পুরনো কাঠামো থেকে আজকের পুজোর যাত্রা শুরু। এখানে প্রতিমা নির্মাণের সময় যে মাটি ব্যবহার করা হয়, তাতে আগে নিষিদ্ধ পল্লীর মাটি মেশানোর রীতি ছিল বলে জানা যায়।
যদিও বর্তমানে সেই রীতি কতটা বজায় থাকে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। চট্টোপাধ্যায় পরিবারের পুজোয় বহু প্রাচীন গয়না মায়ের সাজে ব্যবহৃত হয়। আগে এই পুজোয় পশুবলি দেওয়ার রীতি থাকলেও এখন তা বন্ধ হয়েছে। পুজোর প্রথম নিরঞ্জনও হয় এই বাড়ি থেকেই। এরপর শহরের অন্যান্য প্রতিমার নিরঞ্জন সম্পন্ন হয়।

এই পরিবারিক পুজো কেবলমাত্র ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বরং এটি পুরুলিয়ার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই পুজোকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে এক ঐক্যবদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিবেশ। এখানকার মাটি, মানুষ ও বিশ্বাস মিলে তৈরি হয়েছে এক অনন্য নিদর্শন।

Post Comment