নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া
লক্ষ্মী ম্যাডাম….। শহর পুরুলিয়ায় তিনি প্রায় সকলের পরিচিত মুখ। এই যানজটের শহরে তিনি যেন আক্ষরিক অর্থেই মুশকিল আসান! শুধু ট্রাফিক সামলে যানবাহনের যাতায়াতের পথ প্রশস্ত করে দেওয়া নয়। এই পুজোর ভরা বাজারে বয়স্ক মানুষজনদেরকে রীতিমতো হাত ধরে রাস্তা পারাপার করে দিচ্ছেন। প্রবীণ নাগরিকদের হাতে থাকা ব্যাগপত্র নিজে নিয়ে রাস্তা পারাপারে সহায়তা করছেন। এই সড়ক পারাপারে একই ছবি দেখা যাচ্ছে বালক-বালিকাদের ক্ষেত্রেও। আবার কানে হেডফোন নিয়ে রাস্তা পার হওয়া তরুন-তরুণীদেরকেও কড়া ধমক দিচ্ছেন। কান থেকে খুলে নিচ্ছেন হেডফোন।
এভাবেই পুজোর ভরা বাজারে যানজটে হাঁসফাঁস হওয়া শহর পুরুলিয়ায় রীতিমতো ত্রাতার ভূমিকায় পুরুলিয়া জেলা পুলিশের ওই লেডি এএসআই বিজয়লক্ষ্মী রাও। মূলত তাঁর ডিউটি পড়ে শহরের সবচেয়ে ব্যস্ততম এলাকা হাসপাতাল ও পোস্ট অফিস মোড়ে। দুটি পয়েন্টেই তিনি ট্রাফিক সামলে মন জিতে নিয়েছেন এই শহরের আট থেকে আশি-র । ট্রাফিক সামলানোর কাজের সঙ্গে তাঁর এই মানবিকতার পরিচয়ে তিনি স্রেফ ‘কর্তব্য’ বলে এড়িয়ে যান। কিন্তু এই শহরের আম জনতার মতই পুরুলিয়া জেলা পুলিশ তাঁর কাজকে কুর্নিশ জানায়। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ” ট্রাফিক সামলানোর কাজে এইরকম আধিকারিকই প্রয়োজন। উনি ভালো কাজ করছেন।” একই কথা এই শহরের মানুষজনদেরও। তাই আমজনতার বক্তব্য, ” ওই লেডি অফিসারকে একটা স্যালুট করতে চাই। “
এই শহরে যানজটে যখন সাধারণ মানুষজন তিতিবিরক্ত। পুরসভার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। তখন ট্রাফিক সামলানোর কাজে যুক্ত ওই লেডি অফিসারের মানবিক মুখ পুরুলিয়া জেলা পুলিশের কাজকে উজ্জ্বল করছে। উজ্জ্বল করছে খাকি উর্দিধারী মুখকেই।
Post Comment