insta logo
Loading ...
×

গল ব্লাডারে ১৭টি পাথর! অসাধ্য সাধন পুরুলিয়া মেডিকেল কলেজে

গল ব্লাডারে ১৭টি পাথর! অসাধ্য সাধন পুরুলিয়া মেডিকেল কলেজে

নিজস্ব প্রতিনিধি , পুরুলিয়া:

সংক্রমণ ছিলো গল ব্লাডারে। এমনভাবে জড়িয়ে পেঁচিয়ে গিয়েছিল যে মনে হচ্ছিল একটা নয়, রোগীর দুটো গল ব্লাডার। আবার সেই সংক্রমিত গল ব্লাডারে ১৭টি পাথর। এক কথায় পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বল্প উপায়ে এই অপারেশন ছিল জটিল থেকে জটিলতর। সেই অসাধ্য সাধনই করলেন ৫ ডাক্তারের মেডিকেল টিম। আর কুড়িয়ে নিলেন কর্তৃপক্ষের প্রশংসা।
টিমে ছিলেন ডা. পবন মন্ডল, ডা. মনীষা দেওঘরিয়া, ডা. সোমা সানিয়েল, ডা. অনমিত্র মন্ডল ও ডা. মনোজ বেহেরা। চিকিৎসক ডা. পবন মন্ডল বলেন, “গলব্লাডারে সংক্রমণ হয় যাওয়ায় তা লিভারের রাইট লোবে ঢুকে যায়। ফলে দেখে মনে হচ্ছিল দুটো গলব্লাডার। তা ছিলো জড়ানো পেঁচানো অবস্থায়। এমন সচরাচর দেখা যায় না। অপারেশন করতে গিয়ে কেটে গেলে প্রচুর রক্তক্ষরণ হত। ” ঝুঁকি নিয়েই বুধবার দুপুরে শুরু হয় অপারেশন। চলে আড়াই ঘন্টারও বেশি।
রোগীর নাম আরতি বাউরি। বাড়ি পুরুলিয়া শহরের রেনি রোডে। অক্টোবর মাসে পেট ব্যথা ও বমি নিয়ে তিনি হাসপাতালের আউটডোরে আসেন। তখনই স্যালাইন দিতে হয়। তলপেটের আল্ট্রাসোনগ্রাফিতে দেখা যায় যে পিত্তথলিতে পাথর রয়েছে। যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকা রোগীর অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। আর জটিলতা দেখা দেয় তখনই। দেখা যায় ওই পিত্তথলিতে হয়ে গিয়েছে সংক্রমণ। আর সেটি লিভারের রাইট লোবের সঙ্গে এমনভাবে জুড়ে গেছে যে দেখে মনে হবে দুটো গলব্লাডার। প্রায় ২৫ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য। পুরুলিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এমএসভিপি ডা. সুকোমল বিষয়ী জানান, ” ভীষণ জটিল ছিল এই অপারেশন। চিকিৎসকরা ঝুঁকি নিয়ে এই অসামান্য কাজ করলেন।”

Post Comment