insta logo
Loading ...
×

“স্বর্গে ব্রাঞ্চ?” তীব্র ট্রোলিংয়ে বিদ্ধ তৃণমূল নিলো স্টিকার আড়াল

“স্বর্গে ব্রাঞ্চ?” তীব্র ট্রোলিংয়ে বিদ্ধ তৃণমূল নিলো স্টিকার আড়াল

নিজস্ব প্রতিনিধি, রঘুনাথপুর :

স্বর্গেও কি তাহলে ব্রাঞ্চ খুলে ফেলেছে রাজ্যের শাসক দল? সোশাল মিডিয়ায় তীব্র ট্রোলিং। উপলক্ষ্য একুশে জুলাইয়ে ধর্মতলায় শহিদ সভায় যাওয়ার জন্য তৃণমূলের প্রয়াত নেতার আহ্বান জানানো! ঘটনা হলো রঘুনাথপুর পুরসভার দেওয়ালে এই হোর্ডিং দেওয়া হয়েছে। সেই ছবি ঘুরছে সমাজমাধ্যমেও। আর তার প্রভাবে শেষ পর্যন্ত প্রয়াত নেতার নাম আড়াল হলো স্টিকারে।

কেউ বলছেন, “স্বর্গীয় নেতা নেমে পড়লেন প্রচারে! “কেউ বলছেন, “একুশে জুলাইয়ের আগে ‘তৃণমূল স্বর্গ শাখা’র চাঞ্চল্যকর আত্মপ্রকাশ?”

একুশে জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশ ঘিরে চিরাচরিত প্রস্তুতি পুরশহর রঘুনাথপুরেও। তবে এবারে তৃণমূলের হোর্ডিং ঘিরে জোর বিতর্ক! কারণ, যিনি একুশে জুলাইয়ের ডাক দিচ্ছেন—তিনি জীবিত নন, প্রয়াত।

রঘুনাথপুর পুরসভার একপ্রান্তে বড়সড় হোর্ডিং—অমর একুশে জুলাইয়ে ধর্মতলায় আসুন, সঙ্গে স্বাক্ষর: প্রচারে স্বর্গীয় সুধীর বাউরি!

সোশাল মিডিয়ায় এই ছবি ভাইরাল হতেই শোরগোল। কেউ বলছেন, “স্বর্গেও কি তবে ব্রাঞ্চ খুলেছে তৃণমূল?”, তো কেউ আবার কটাক্ষ করেছেন, “এতটাই খারাপ অবস্থা যে মাটি ছেড়ে এবার আকাশ থেকে প্রচার!” টিপ্পণিতে ছিঁড়ে খাচ্ছে নেটপাড়া।

বিজেপির পুরপ্রতিনিধি দীনেশ শুক্লর সোজাসাপ্টা ব্যঙ্গ—“শহরে তৃণমূলের এমনই দৈন্য, প্রয়াত নেতাকেও মাঠে নামাতে হচ্ছে! সুধীরবাবু অন্তত এঁদের মতো দুর্নীতিতে নাম লেখাননি।”

কে লাগালেন হোর্ডিং? জানা যাচ্ছে, প্রয়াত নেতার ছেলে সত্যজিৎ বাউরি—যিনি এখন যুব তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক এবং শহর কমিটির সক্রিয় সদস্য। বলছেন, “বাবার স্মৃতিতেই দিয়েছি। উনি ছিলেন একুশে জুলাইয়ের অগ্রণী সংগঠক। সিপিএম আমলে যখন সমাবেশে লোক নিয়ে যাওয়া যুদ্ধের সমান ছিল, তখনও তিনিই একাই ঘুরে ঘুরে ওয়ার্ডে সভা করতেন। এখন যারা সাজানো বাগানে ফুল তুলে হাঁটছেন, তারা জানেন না ওই বাগান কার হাতে তৈরি।”

তাহলে কি শহর তৃণমূল নেতৃত্বের ওপর আস্থা নেই? সে প্রশ্নে এড়িয়ে গিয়ে সত্যজিতের ইঙ্গিত পূর্ণ মন্তব্য, “এখন ব্যক্তি বড়, দল নয়। পুরসভায় অনাস্থা কেন এসেছিল, সবাই জানে। আমি শুধু পুরনো দিনের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছি।”

তৃণমূলের শহর সভাপতি বিষ্ণুচরণ মেহেতার অবশ্য বক্তব্য সংক্ষিপ্ত, “হোর্ডিং দলের তরফে নয়, সত্যজিৎ নিজের আবেগে লাগিয়েছে।”

Post Comment