নিজস্ব প্রতিনিধি, আদ্রা:
রামায়ণে শূর্পনখার নাক কেটেছিলেন লক্ষ্মণ। আর আদ্রায় নিজের স্ত্রীকে নাক কেটে শূর্পনখা বানালো স্বামী। স্বামীর ছুরির আঘাতে নাক কাটা গেল স্ত্রীর।অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করল আদ্রা থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতের নাম গোপাল বাউরি। তার বাড়ি আদ্রা থানার জ্যোতিমোড়ে। তার বিরুদ্ধে নিজের শ্বশুর বাড়িতে ঢুকে স্ত্রীকে এলোপাথাড়ি ছুরির কোপ মেরে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
আদ্রার সাবির ডাঙ্গার বাসিন্দা অর্জুন বাউরি পুলিশকে জানিয়েছেন বছর ছয়েক আগে ৬ গোপালের সঙ্গে তার ভাইজি যমুনা প্রেম করে বিয়ে করে। এখন তাদের একটি পাঁচ বছরের ছেলে আছে। তাঁর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে যমুনার ওপর গোপাল মানসিক ও শারীরিক ভাবে নির্যাতন চালাত। প্রায় এক বছর আগে অত্যাচার অসহ্য হওয়ায় বাপের বাড়ি চলে আসে সে। বাবা – মা নেই। ফলে কাকুর বাড়িতেই থাকত সে। অর্জুন বাবু জানান, রবিবার সকালে ওই যমুনা ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে ঘুমিয়েছিল। হঠাৎই ঘরের মধ্যে একটি বড় ছুরি নিয়ে ঢুকে পড়ে গোপাল। তার পর ভেতর থেকে ঘরের দরজা বন্ধ করে স্ত্রীর উপর ওই ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারতে শুরু করে। যমুনার গলা টিপে ধরে সে। তার আর্তনাদ শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ওই বধূর নাক কেটে ঝুলছিল। মাথায় গভীর চোট ছিল। ভেঙে গিয়েছিল হাতের আঙুল। তাকে প্রথমে কাশিপুরের কল্লোলী গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে। পুলিশ জানিয়েছে জখম মহিলার কাকুর অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার ধৃতকে রঘুনাথপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে অভিযুক্ত যুবকের ৩ দিনের পুলিশ হেফাজত হয়।









Post Comment