insta logo
Loading ...
×

সারা রাত ঘুম নেই, নরক যন্ত্রণা পুঞ্চার হাসপাতালে

সারা রাত ঘুম নেই, নরক যন্ত্রণা পুঞ্চার হাসপাতালে

নিজস্ব প্রতিনিধি, পুঞ্চা:

ভাদ্র মাসের হাঁসফাঁস গরমে পুঞ্চা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিণত হলো কার্যত দমবন্ধ পরিবেশে। রাতভর একটিও বৈদ্যুতিক পাখা না চলায় রোগী ও তাদের সঙ্গে থাকা আত্মীয়দের একমাত্র ভরসা ছিল হাতপাখা। ওয়ার্ডের মধ্যে শুয়ে থাকা শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলকেই ঘাম আর অস্বস্তির সঙ্গে রাত কাটাতে হয়েছে।
অজিত মাহাতো নামে একজন রোগীর ক্ষোভ ভরা অভিযোগ, শরীর খারাপের উপর এই অসহনীয় গরমে পাখা ছাড়া থাকা অসম্ভব। সারারাত ঘুমহীন যন্ত্রণায় কেটেছে।

অন্যদিকে, ইপিল হাঁসদা নামে রোগীর পরিবারের দাবি, হাসপাতালের অবস্থা ভয়াবহ। পাখা নেই, গরমে বাচ্চারা কষ্ট পাচ্ছে। প্রশাসনের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

এই পরিস্থিতির জন্য কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। তবে পুঞ্চা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক নবকুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন, ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিটের কারণেই ফ্যান বন্ধ হয়েছে। বৃষ্টির সময় এ সমস্যা বারবার দেখা দিচ্ছে। আশ্রয়ের জন্য স্বাস্থ্য দপ্তর, জেলা প্রশাসন ও পঞ্চায়েত সমিতিকে জানানো হয়েছে। ওষুধপত্র পর্যন্ত ভিজে যাচ্ছে। কিন্তু এখনও স্থায়ী সমাধান মেলেনি।
ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে পৌঁছান পুঞ্চা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনিলবরন সহিস। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। ক্ষুব্ধ সভাপতি সাফ জানিয়ে দেন, এটি গাফিলতির চরম উদাহরণ। মানুষের চিকিৎসা নিয়ে ছেলেখেলা করা হচ্ছে। হাসপাতালের এই বেহাল অবস্থা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা যাবে না।
রাতভর অস্বস্তি, রোগীদের দুর্দশা আর স্থানীয় মানুষের ক্ষোভ— সব মিলিয়ে স্পষ্ট, গ্রামের স্বাস্থ্যপরিষেবার চিত্র কতটা ভঙ্গুর অবস্থায় দাঁড়িয়ে। গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালের সমস্যাও যেন ক্রমশ অসহনীয় হয়ে উঠছে।

Post Comment