insta logo
Loading ...
×

সাংসদের মোদি বন্দনায় অনুষ্ঠান ছাড়ল তৃণমূল-সিপিআইএম

সাংসদের মোদি বন্দনায় অনুষ্ঠান ছাড়ল তৃণমূল-সিপিআইএম

নিজস্ব প্রতিনিধি, রঘুনাথপুর :

শুধু মোদি মোদি আর মোদি। সরকারি মঞ্চে কেন কেবল মোদি বন্দনা? বুধবার রঘুনাথপুরে ডিভিসির দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পে ব্যালেন্স অফ প্ল্যান্টের কাজের সূচনায় সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর বক্তব্য ছিল মোদিময়। আর এতেই তুমুল বিতর্ক দেখা দিল। মোদি বন্দনায় আপত্তি তোলেন তৃণমূল ও সিপিআইএমের জনপ্রতিনিধিরা। তাঁদের স্পষ্ট অভিযোগ, সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো ডিভিসির এই প্রকল্পের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথাই শুধু বলে গেলেন। অথচ ২০০৭ সালে এই প্রকল্পের শিলান্যাস হয়েছিল। সেই সময় কেন্দ্রে ছিলই না বিজেপি। ডিভিসি-র বাস্তবায়নে প্রয়াত সিপিএম সাংসদ বাসুদেব আচারিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ফলে কেবল মোদির প্রশংসায় আপত্তি জানিয়ে অনুষ্ঠান থেকে চলে যান তৃণমূল ও সিপিআইএম জনপ্রতিনিধিরা। সাংসদের বক্তব্যের তুমুল বিরোধিতা ও প্রতিবাদ করে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা।

জ্যোতির্ময় ছিলেন অবিচল। ওই অবস্থাতেও তিনি তার বক্তব্য পেশ করতে থাকেন। পরে তিনি বলেন, “সহিষ্ণুতা এবং অসহিষ্ণুতার পরিচয় পেলেন মানুষ। রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে পার্থক্য দেখলেন সবাই। রাজ্যের অনুষ্ঠানে আমাদের ডাকাই হয় না। কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে তৃণমূলের সভাধিপতিকে ডাকা হয়েছে। আমাদের বক্তব্য তাঁরা শুনতে চাইছেন না। কিন্তু আমাদের পক্ষে যাঁরা রয়েছেন তারা কিন্তু ওঁদের বক্তব্য শুনেছেন। “

ওই সরকারি মঞ্চে সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো ছাড়াও ছিলেন বিজেপির দুই বিধায়ক রঘুনাথপুরের বিবেকানন্দ বাউরি, পাড়ার নদিয়ার চাঁদ বাউরি। ছিলেন সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাতো।

রঘুনাথপুর ২ নং ব্লক তৃণমূল সভাপতি সঞ্জয় মেহেতা বলেন, ” রাজ্য সরকার এই এলাকায় শিল্প বান্ধব পরিস্থিতি তৈরি করে দিয়েছে । জমি দিয়েছে। নিরাপত্তা দিয়েছে। সব রকম সাহায্য করছে রাজ্য সরকার। অথচ রাজ্যের কোন নামই করছেন না সাংসদ। শুধুই নরেন্দ্র মোদির কথা বলে যাচ্ছেন। এই কারণেই আমরা তাঁর বক্তব্যের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ দেখাই। “

ডিভিসির দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পে ব্যালেন্স অফ প্ল্যান্টের কাজের সূচনায় ১৩২০ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার কথা। সেই প্রকল্পের ভূমিপূজা অনুষ্ঠানে এই বিতর্ক দেখা দেয়।

Post Comment