insta logo
Loading ...
×

সকাল গড়িয়ে বেলা, অবরোধের হুমকি-ই সার,রেল-সড়ক স্বাভাবিক, ছুটছে বন্দে ভারত

সকাল গড়িয়ে বেলা, অবরোধের হুমকি-ই সার,রেল-সড়ক স্বাভাবিক, ছুটছে বন্দে ভারত

সুজয় দত্ত, ঝালদা,,সুইটি চন্দ্র, পুরুলিয়া, দেবীলাল মাহাতো, আদ্রা:

জঙ্গলমহলের চার জেলা পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরে রেল চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। জাতীয় সড়ক, রাজ্য সড়ক এমনকি গ্রামীণ পথেও কোথাও কোন অবরোধের খবর মেলেনি রাজ্য পুলিশের কাছে। এই চার জেলার দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের আদ্রা, রাঁচি, খড়গপুর ডিভিশনের রেলপথে এবং গুরুত্বপূর্ণ সড়কে রাত থেকেই মোতায়েন রয়েছে রেল ও রাজ্য পুলিশ। জেলা জুড়ে বিভিন্ন রাস্তাঘাট, বাস স্ট্যান্ড এমনকি গ্রামীন পথেও পুলিশের টহল চলছে। যাতে কুড়মিদের ঘোষণা অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালীন অবরোধে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। যদিও তারা বাংলায় তাদের ঘোষণা মত কোন রেল ও সড়ক অবরোধ করতে পারেনি।

তবে শুক্রবার রাতে পুরুলিয়ার একাধিক স্টেশনে কুড়মি সমর্থকরা অবরোধের প্রস্তুতি নিতে গেলে মধ্যরাতেই তৎপর হয় জেলা পুলিশ। প্রায় ৬০ জন সমর্থককে আটক করা হয়।
শনিবার সকালে নির্দিষ্ট সময়ে পুরুলিয়া স্টেশন থেকে ছাড়ে পুরুলিয়া এক্সপ্রেস। যথাসময়ে হাওড়া-চক্রধরপুর প্যাসেঞ্জারও সম্ভাব্য অবরোধস্থল অতিক্রম করে নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছেছে। ঝালদা, কোটশিলা, পুরুলিয়া স্টেশন দিয়েই সময়মতো পার হয় রাঁচি-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এই সুপারফাস্ট ট্রেনটিও নির্দিষ্ট সময়ে হাওড়া পৌঁছায়। তবে ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশার কয়েকটি স্টেশনে অবরোধ চলছে। সংগঠনের মূল মানতা অজিতপ্রসাদ মাহাতোর দুটি মোবাইল-ই বন্ধ রয়েছে দু’দিন ধরে। অবরোধ মোকাবিলায় দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে গ্রহণ করেছে একাধিক প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের মুখ্যসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল ও সরকারি রেল পুলিশকে ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। ভার্চুয়াল বৈঠক হয়েছে ঝাড়খণ্ড পুলিশের মহাপরিদর্শকের সঙ্গেও।
চিহ্নিত ৫২টি আন্দোলনকেন্দ্রে আরপিএফ ও জিআরপি মোতায়েন জোরদার করা হয়েছে। যেকোনো বেআইনি ট্রেন বা ট্র্যাক অবরোধের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে কুইক রিঅ্যাকশন টিম। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে যৌথ সমন্বয় সেল গঠন করে রাখা হয়েছে। ট্র্যাক, স্টেশন ও ইয়ার্ড এলাকায় টহলদারি বাড়ানো হয়েছে যাতে নাশকতা বা অনুমতিহীন প্রবেশ ঠেকানো যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গোয়েন্দা তথ্যও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিভাগীয় সদর দফতরে জরুরি নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে, যাতে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালানো যায়।

জঙ্গলমহলের এই জেলার সাধারণ মানুষ পুলিশ প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। পুজোর মুখে বারবার অবরোধের ডাক দেওয়াকে সাধারণ মানুষজন মেনে নিতে পারছেন না। তাই যাতে কোনোভাবে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি না হয় তাই
জেলা জুড়ে বাসস্ট্যান্ড ও সড়কপথে কড়া নজরদারি রয়েছে পুলিশের। সরকারি বাস রাস্তায় নামলেও এদিন জেলা জুড়ে বেসরকারি বাস পথে নামেনি। এই জেলায় এই ধরনের কর্মসূচি থাকলে অশান্তি এড়াতে বেসরকারি বাস পথে নামে না।

Post Comment