নিজস্ব প্রতিনিধি , বোরো:
২০১০ সালের ২৮ জুলাই। দুপুর গড়িয়ে চলেছে। মানবাজার-২ নং ব্লকের বুরুডি মোড়। প্রকাশ্য দিবালোকে গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েন তৎকালীন তৃণমূল কর্মী হলধর মাহাত। ‘সিপিএমের হার্মাদ বাহিনী’র বিরুদ্ধে উঠেছিল অভিযোগ। সেই থেকে প্রতিবছর এই দিনটি স্মরণ করে তৃণ। এবছরপ শহিদের সেই আত্মবলিদানের দিনটিকে স্মরণ করল গোটা এলাকা।
সোমবার শহিদ হলধর মাহাতর শহিদ দিবস উপলক্ষে মানবাজার ২ নং ব্লকের দিঘীতে দিনভর পালিত হল একাধিক কর্মসূচি। সকালেই দিঘী গ্রামে শহিদের আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান ও পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সূচনা হয় শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানের। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে তৃণমূল কর্মীরা অংশ নেন এই আয়োজনে।
এরপর সূচিত হয় শহিদ হলধর মাহাত স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট। স্থানীয় মাঠে আয়োজিত এই খেলায় বিভিন্ন গ্রামের প্রতিভাবান ফুটবল দল অংশ নিচ্ছে। যুব সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণে ফুটবল মাঠে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
দুপুরের পর হলধর মাহাত বিএড কলেজে অনুষ্ঠিত হয় এক স্মরণসভা। কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতিতে শহিদের জীবন, সংগ্রাম ও এলাকার রাজনৈতিক ইতিহাসকে ঘিরে উঠে আসে স্মৃতিচারণ ও বিশ্লেষণ। বক্তারা বলেন, “হলধরবাবু শুধু রাজনৈতিক কর্মী নন, তিনি ছিলেন গ্রামের পরম নির্ভরতার প্রতীক।”
দিনের শেষে, বিকেলে, শহিদস্থল বুরুডি মোড়ে আয়োজিত হয় একটি বিশাল স্মরণ সভা। মানবাজার-২ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে আয়োজিত এই সভায় উপস্থিত ছিলেন এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব, শহিদের পরিবারবর্গ, ও বহু সাধারণ মানুষ। বক্তৃতায় উঠে আসে রাজ্য রাজনীতির রক্তাক্ত অতীত ও শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের স্বপ্ন।
উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা বান্দোয়ানের বিধায়ক রাজীবলোচন সরেন, রাজ্যের মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু, পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন জেলা সভাপতি গুরুপদ টুডু, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ হংসেশ্বর মাহাতো প্রমুখ।










Post Comment