নিজস্ব প্রতিনিধি , পুরুলিয়া :
অধিকারের লড়াইয়ে জীবন উৎসর্গ করা এক নাম—নির্মল মাহাতো। গরিব, শোষিত, আদিবাসী মানুষের অধিকারের দাবিতে তিনি হয়ে উঠেছিলেন এক বলিষ্ঠ মুখ। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সাধারণ কর্মী থেকে মাত্র চার বছরে সভাপতি পদে পৌঁছে দেন নিজের নেতৃত্বের প্রভাব।
১৯৫০ সালের ২৫ ডিসেম্বর, পূর্ব সিংভূমের উলিয়ান গ্রামে তাঁর জন্ম। টিউশন করে পড়াশোনা চালানো থেকে ছাত্র রাজনীতি, সবেতেই তিনি ছিলেন সংগ্রামী। ১৯৮০ সালে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চায় যোগ দিয়ে শুরু করেন রাজনৈতিক সফর। ১৯৮৪-তে হন দলের সভাপতি।
ঝাড়খণ্ড আন্দোলনে ছাত্রসমাজকে যুক্ত করতে ১৯৮৬ সালে গঠন করেন অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্ট ইউনিয়ন (AJSU)। রাজনীতির বাইরেও সমাজ সংস্কারে যুক্ত ছিলেন নির্মল মাহাতো। মাদকবিরোধী প্রচার থেকে শুরু করে সাহুকারি ও শ্রমিক শোষণের বিরুদ্ধে সরব হন।
৮ আগস্ট ১৯৮৭, জামশেদপুরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে শহিদ হন নির্মল মাহাতো। তাঁর মৃত্যুর প্রতিবাদে তিনদিনের লাগাতার বনধ ডাকেন সূর্য সিং বেসরা ও শৈলেন্দ্র মাহাতো। সেই আন্দোলনের চাপে কেন্দ্রীয় স্তরে আলোচনার আশ্বাস দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। পরে সেই আন্দোলনের পথ ধরে গড়ে ওঠে আলাদা ঝাড়খণ্ড।
বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ার বিটি সরকার রোডে ও সাহেব বাঁধ রোডের গরামথানে শহিদ নির্মল মাহাতোর স্মরণসভা আয়োজন করল আদিবাসী কুড়মি সমাজ। সংগঠনের নেতা অজিতপ্রসাদ মাহাতো জানান, “শহিদ নির্মল মাহাতোর স্বপ্নপূরণই হবে তাঁর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা।”










Post Comment