insta logo
Loading ...
×

রূপসী বাংলা পুরস্কারে জঙ্গলমহলের ‘স্বর্ণজয়’! মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া পেল ‘বেস্ট প্লান্টেশন অ্যাওয়ার্ড’

রূপসী বাংলা পুরস্কারে জঙ্গলমহলের ‘স্বর্ণজয়’! মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া পেল ‘বেস্ট প্লান্টেশন অ্যাওয়ার্ড’

সুইটি চন্দ্র, পুরুলিয়া:

রাজ্যের বনসৃজন কর্মসূচিতে অনন্য অবদানের জন্য ‘রূপসী বাংলা পুরস্কার’-এ এবার জয় ছিনিয়ে নিল জঙ্গলমহলের তিন জেলা মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া। দীর্ঘমেয়াদী ও পরিকল্পিত বৃক্ষরোপণ এবং বন সংরক্ষণে অগ্রণী ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে ‘বেস্ট প্লান্টেশন অ্যাওয়ার্ড’-এর প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করল যথাক্রমে এই তিন জেলা।
গত সোমবার ঝাড়গ্রামে রাজ্য বনমহোৎসবের মঞ্চে রাজ্যের পশ্চিম, কেন্দ্রীয় ও দক্ষিণ-পশ্চিম বনচক্রের এই তিনটি বিভাগের হাতে পুরস্কার তুলে দেন রাজ্য বন দপ্তরের আধিকারিকরা।

প্রথম স্থান: মেদিনীপুর

পশ্চিম চক্রের অধীন মেদিনীপুর বন বিভাগের আরাবাড়ি রেঞ্জের গোপালবাঁধ বিটের দোলং মৌজায় ২০ হেক্টর জমিতে বিস্তৃত বনসৃজন প্রকল্প প্রথম স্থান লাভ করে। মেদিনীপুর বিভাগের ডিএফও দীপক এম জানান, “এই প্রকল্পে বহড়া, হরতকি, আমলকি, করঞ্জ, জারুল, অর্জুন, মহুয়া প্রজাতির বহু গাছ রোপণ করা হয়েছে। পাঁচ বছর ধরে নিবিড় নজরদারিতে প্রকল্পটি পরিচালিত হয়েছে।”

দ্বিতীয় স্থান: বাঁকুড়া

কেন্দ্রীয় চক্রের পাঞ্চেত বন বিভাগের অন্তর্গত বিষ্ণুপুর রেঞ্জের বিষ্ণুপুর ২ বিটের ভেদুয়া মৌজা দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। ডিএফও রাজু সরকার জানান, “এই ১০ হেক্টরের বনসৃজন প্রকল্পে ৬০ শতাংশ শাল এবং ৪০ শতাংশ নিম, পিয়াশাল, জাম ও শিশু গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছের পরিচর্যা ও সুরক্ষার দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।”

তৃতীয় স্থান: পুরুলিয়া

দক্ষিণ-পশ্চিম চক্রের কংসাবতী দক্ষিণ বনবিভাগের বান্দোয়ান এক বনাঞ্চলের পারগোড়া বিটের ডাঙুরজুরি মৌজা তৃতীয় স্থান পেয়েছে। এই প্রকল্পে সর্বাধিক ৩৬টি সেক্টরে শাল, সেগুন, বহড়া ও অর্জুন গাছ লাগানো হয়েছে। কংসাবতী দক্ষিণ বনবিভাগের
ডিএফও পূরবী মাহাতো বলেন, “পুরুলিয়ার বনাঞ্চল গত কয়েক বছরে চোখে পড়ার মতো বেড়েছে। বিশেষ করে বান্দোয়ান অঞ্চলে জঙ্গলের ঘনত্ব ও বৈচিত্র্য দুটোই বৃদ্ধি পেয়েছে।”
পারগোড়া বিট অফিসার পরিমল বাউরি জানান, “পাঁচ বছর ধরে আমরা নিয়মিত এই বনসৃজন প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণ করছি। এই বনাঞ্চলের উন্নয়নের কারণে দুটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের চলাচলও লক্ষ্য করা গিয়েছে। এতে স্থানীয় যৌথ বন পরিচালন কমিটিগুলিও প্রত্যক্ষভাবে লাভবান হয়েছে।”

প্রতি বছরই রূপসী বাংলা পুরস্কারে জঙ্গলমহলের দখল ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে পুরুলিয়া টানা তিন বছর ধরে এই স্বীকৃতি অর্জন করে বনসংরক্ষণে রাজ্যের মুখ উজ্জ্বল করছে।

Post Comment