insta logo
Loading ...
×

বিরোধী দলনেতার কনভয়ে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ – অবরোধ পুরুলিয়ায়

বিরোধী দলনেতার কনভয়ে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ – অবরোধ পুরুলিয়ায়

নিজস্ব প্রতিনিধি , পুরুলিয়া:

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে হামলার ঘটনার প্রতিবাদ পুরুলিয়াতেও। মঙ্গলবার সকাল থেকেই জেলা শহর সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে পথে নামেন বিজেপি সমর্থকেরা। পুরুলিয়া সদর থানার সামনে জমায়েত করে রাস্তা অবরোধ করেন তাঁরা। ‘বিচার চাই’, ‘দোষীদের শাস্তি চাই’— এই স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে শহরের ব্যস্ততম রাস্তাঘাট।

বিজেপির জেলা নেতৃত্বের দাবি, “এই হামলা গণতন্ত্রের উপর আঘাত। একজন নির্বাচিত বিধায়ক এবং বিরোধী দলনেতার কনভয়ে হামলা মানে সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর রুদ্ধ করার চেষ্টা।” তাঁদের আরও অভিযোগ, পরিকল্পিত ভাবেই এই হামলার ছক কষেছে তৃণমূল। তারই প্রতিবাদ জানিয়ে জেলার বিভিন্ন অংশে বিক্ষোভ ও পথ অবরোধ শুরু হয়।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার কোচবিহারের খাগড়াবাড়ি চৌপতিতে শুভেন্দুর কনভয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। দলীয় বিধায়কদের ওপর নিগ্রহের প্রতিবাদে কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। সেই কর্মসূচিতে যোগ দিতেই তিনি বাগডোগরা হয়ে কোচবিহারে যান। অন্যদিকে পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে বাংলা ভাষাভাষী শ্রমিকদের উপর ভিন্‌রাজ্যে হামলার প্রতিবাদে ওই দিনই কোচবিহারে ‘ভাষা আন্দোলন’-এর কর্মসূচি নিয়েছিল তৃণমূল। শুভেন্দুর কনভয় খাগড়াবাড়ি এলাকায় পৌঁছোতেই তাঁর গাড়ির কনভয় ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা। তাঁদের হাতে ছিল দলীয় ও কালো পতাকা। অভিযোগ, সেখান থেকেই শুভেন্দুর গাড়িতে জুতো ছোড়া হয় এবং লাঠি দিয়ে গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়।

শুভেন্দু এই হামলার জন্য সরাসরি উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহকে দায়ী করেছেন। তাঁর দাবি, “আমাকে প্রাণে মারার চেষ্টা হয়েছে। এটা একটা রাজনৈতিক হত্যার চক্রান্ত।” পাল্টা কটাক্ষ করে উদয়ন বলেন, “বিজেপি বাংলা ভাষা বিরোধী। ওদের যেখানে যেখানে যাওয়ার কথা, সেখানে মানুষই প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।”

এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করেছে কোচবিহার পুলিশ। তবে বিজেপির প্রশ্ন, “শুভেন্দুর কর্মসূচি যদি পূর্বঘোষিত ছিল, তা হলে কেন আগাম নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হল না?”

Post Comment