insta logo
Loading ...
×

বাস মালিকদের ‘না’, সরছে না পুরুলিয়া বাস স্ট্যান্ড

বাস মালিকদের ‘না’, সরছে না পুরুলিয়া বাস স্ট্যান্ড

নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া

বাস মালিকদের আপত্তিতে আপাতত সরছে না পুরুলিয়া বাস স্ট্যান্ড। পুরুলিয়া পুর শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে যেখানে বাসস্ট্যান্ড রয়েছে সেখানেই প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নতুনভাবে ওই স্ট্যান্ড গড়বে মিউনিসিপাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডাইরেক্টরেট। শহর পুরুলিয়ার এই বাসস্ট্যান্ডকে অন্যত্র সরাতে প্রশাসন বহুদিন থেকেই নানান পরিকল্পনা করছে। সম্প্রতি পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের একটি টিম পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে ধানবাদ- জামশেদপুর ৩২ নম্বর জাতীয় সড়কের প্রশস্তিকরনের স্থলে শিমুলিয়ায় বাসস্ট্যান্ড স্থানান্তরের জন্য জমি দেখে। ওই জমি পরিদর্শনে ছিলেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাতো, পুরুলিয়ার জেলাশাসক রজত নন্দা, পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। সেখানে প্রায় ৪ একর সরকারি খাস জমিতেবাসস্ট্যান্ড গড়তে চায় প্রশাসন। এই প্রেক্ষিতে আঞ্চলিক পরিবহন আধিকারিক অর্ণব চিন্না বাস মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে বাস মালিকরা জানিয়ে দেন, বাসস্ট্যান্ড অন্যত্র স্থানান্তর করলে তারা সমস্যার মধ্যে পড়বেন। আপাতত কোনভাবেই বাসট্যান্ড সরানো যাবে না। তবে আগামী দিনে শহরকে যানজট মুক্ত করতে বাসস্ট্যান্ডকে স্থানান্তর করবে বলেই জানিয়েছে প্রশাসন। পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাতো বলেন, ” শহরের ওপর চাপ কমাতে বাসস্ট্যান্ডকে অন্যত্র স্থানান্তর করতেই হবে। বাসস্ট্যান্ড হবে একেবারে খোলামেলা জায়গায়। যাতে কোন যানজট না হয়। ” প্রায় এক দশক ধরে এই বাসস্ট্যান্ডকে স্থানান্তর করার পরিকল্পনা করছে প্রশাসন। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি । আঞ্চলিক পরিবহন আধিকারিক অর্ণব চিন্না বলেন, “শহরের ওপর চাপ কমাতে আমরা বাসস্ট্যান্ডকে অন্যত্র সরাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বাস মালিকরা তাতে রাজি হচ্ছেন না। ” পুরুলিয়া বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন বলছে, যে জায়গায় বাসস্ট্যান্ডকে সরানো হচ্ছে তা বর্তমানে শহরের বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রায় ৪-৫ কিমি দূরে। এতে যাত্রীরা নানান সমস্যার মুখে পড়বেন। টোটো ভাড়া যেমন বেশি খরচ হবে। তেমনই শহরের মানুষদের প্রায় ৪৫ মিনিট সময় হাতে নিয়ে বার হতে হবে। এছাড়া ২০১৮ সালের পর কোন ভাড়া বাড়েনি। ওই এলাকায় বাস নিয়ে যেতে প্রতিদিন ১০০ টাকা করে বাড়তি তেলের খরচা পোহাতে হবে বাস মালিকদের। তাছাড়া যে এলাকা দিয়ে শিমুলিয়া যাবে তা ভাটবাঁধের ওপর দিয়ে। ওই এলাকায় রয়েছে স্কুল। এছাড়া ওই এলাকা ঘিঞ্জিও। পুরুলিয়া জেলা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রতিভারঞ্জন সেনগুপ্ত বলেন, ” আপাতত আমরা বাস স্ট্যান্ড সরানোর পক্ষপাতি নই । অন্যত্র সরলে আমরা যেমন অসুবিধার মুখে পড়বো। তেমনই সাধারণ মানুষও পড়বেন। ” মালিকরা জানিয়েছেন, শুধু বাস স্ট্যান্ড সরালে হবে না। তার পাশে থাকা দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগম ও ট্রেকার স্ট্যান্ডও সেখানে সরাতে হবে। না হলে অর্থনীতি মার খাবে। বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের এইসব যুক্তিতেই আপাতত বাসস্ট্যান্ড স্থানান্তর হচ্ছে না। এদিকে পরিবহন দপ্তর বাস স্ট্যান্ড সংস্কারে যে দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। তার দরপত্র আহবান প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগেই ওই বাসস্ট্যান্ডের সংস্কার হচ্ছে। যেহেতু এই বাসস্ট্যান্ডের মালিকানা পুরসভার। তাই মিউনিসিপাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডাইরেক্টরেট একেবারে নতুনভাবে ওই বাসস্ট্যান্ড গড়বে।

Post Comment