insta logo
Loading ...
×

ফের বজরঙ দল থেকে তৃণমূলে যোগদানকে ঘিরে বিতর্ক, পদত্যাগ দাবি বিধায়কের

ফের বজরঙ দল থেকে তৃণমূলে যোগদানকে ঘিরে বিতর্ক, পদত্যাগ দাবি বিধায়কের

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝালদা:


ফের বজরঙ দলের সদস্যকে শাসক দলে যোগদান করানোকে কেন্দ্র করে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে পুরুলিয়ায়। শনিবার পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে বাঘমুন্ডির তৃণমূল বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোর নেতৃত্বে ঝালদার ৪০ জন বজরঙ দলের কর্মী শাসক দলে যোগ দেন। তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন
পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি রাজীবলোচন সরেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অনেকেই।

তবে যোগদানের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই রবিবার দুপুরে ঝালদা শহর লাগোয়া হোসেনডি গ্রামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ শাসক দলে যোগ দেওয়া প্রবিত মাহাতোকে নিয়ে আপত্তি জানান। স্থানীয়রা রীতিমতো বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। অভিযোগ, সম্প্রতি প্রবিত সমাজমাধ্যমে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন। সেই ঘটনায় তিনি গ্রেফতার হয়ে পরে জামিনে মুক্তি পান। তবে সেই মামলা এখনও বিচারাধীন। এ প্রসঙ্গে বিক্ষোভে শামিল বশির খান জানান,
“সংখ্যালঘুদের অপমান করা লোককে দলে নিয়ে বিধায়ক আমাদেরকেই অপমান করলেন। আমরা বিধায়কের পদত্যাগ দাবি করছি।”
এই ঘটনার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো কোন সাড়া দেননি।

এদিকে এই বিষয়টিতে সরব হয়েছে পুরুলিয়া জেলা বিজেপি। জেলা সভাপতি শংকর মাহাতো বলেন,
“তৃণমূলের পতনের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। যাচাই না করে দল ভাঙাতে গেলে এমনটাই হয়।”
বিজেপি সূত্রের দাবি, প্রবিত মাহাতো আগে বিজেপির ঝালদা শহর যুব মোর্চার দায়িত্বে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠায় তাকে সেই পদ থেকে সরানো হয়েছিল। এরপরই তিনি তৃণমূলে যোগ দেন।
এদিকে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের জেলা সহ-সভাপতি ও ঝালদা ১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য শেখ সুলেমান বলেন, “এরকম বিতর্কিত জনকে দলে নেওয়ার আগে অবশ্যই আলোচনা হওয়া উচিত ছিল।” উল্লেখ্য, এর আগে পুরুলিয়া শহরেও বজরঙ দলের কর্মীদের তৃণমূলে যোগদানকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তবে তখন বজরঙ দলের তরফে জানানো হয়েছিল, যোগদানকারীরা তাদের সংগঠনের ছিলেন না।
ফলে বজরং দলে ভাঙন কথাটি ঠিক নয়।

Post Comment