insta logo
Loading ...
×

ফরেনসিক নমুনা আটকে ন্যায়বিচার ব্যাহত, জেলা আদালতের সিদ্ধান্তে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

ফরেনসিক নমুনা আটকে ন্যায়বিচার ব্যাহত, জেলা আদালতের সিদ্ধান্তে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

নিজস্ব প্রতিনিধি, জয়পুর :

নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় বাজেয়াপ্ত নমুনা ফরেনসিক বিভাগে পাঠানোর জন্য জেলা আদালতে আবেদন করেছিল পুলিশ। সেই আবেদনকে “অস্পষ্ট ও অপ্রাসঙ্গিক” বলে খারিজ করেছিলেন পুরুলিয়া জেলা আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক-২ তথা বিশেষ আদালতের বিচারক রানা দাম। শুধু তাই নয়, আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট করছে পুলিশ, এমন মন্তব্য করে নজিরবিহীনভাবে জয়পুর থানার আইসি লিটন রক্ষিতকে ৫ হাজার টাকা এবং মামলার আইও অর্থাৎ তদন্তকারী আধিকারিক পরিমল ঘোষকে ১ হাজার টাকা জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের তহবিলে জমা করারও নির্দেশ দেন তিনি। ওই সিদ্ধান্তে তোলপাড় শুরু হয় জেলা পুলিশমহলে।

এই নির্দেশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন জয়পুর থানার আইসি। মঙ্গলবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে মামলার শুনানি হয়। শুনানিতে বিচারপতি স্পষ্ট জানান, তদন্তকারী আধিকারিকের আবেদন মোটেও অস্পষ্ট ছিল না। ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো এই মামলায় অত্যন্ত জরুরি, তা ছাড়া ন্যায়বিচার সম্ভব নয়। নিম্ন আদালতের আদেশে যে খরচ আরোপ করা হয়েছিল, তারও কোনও যুক্তি নেই বলে মন্তব্য করেন বিচারক।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২০ আগস্ট রাতে জয়পুরের এক ১২ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পরদিন থানায় মামলা রুজু হয় পকসো আইনে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হলে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। নাবালিকা ও অভিযুক্ত উভয়ের ডাক্তারি পরীক্ষার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেগুলি ফরেনসিক পরীক্ষায় পাঠানোর জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেন তদন্তকারী আধিকারিক। তবে জেলা আদালত তা খারিজ করে দেয়।

হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য বাজেয়াপ্ত উপকরণ দ্রুত পাঠানো না হলে তা নষ্ট বা দূষিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উপকরণগুলি ফরেনসিক ল্যাবে পাঠিয়ে রিপোর্ট সংগ্রহ করতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

Post Comment