নিজস্ব প্রতিনিধি, রঘুনাথপুর :
দেশজুড়ে রেলপরিকাঠামোর আধুনিকীকরণে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিতে চলেছে ভারত সরকার। আগামী ২২ মে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘অমৃত ভারত স্টেশন যোজনা’র অন্তর্ভুক্ত ১০৩টি স্টেশনের উদ্বোধন করবেন। এই প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার জয়চণ্ডী পাহাড় স্টেশনও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
এই দিনই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের আরও দুইটি স্টেশন—পানাগড় এবং কল্যাণী ঘোষপাড়া—এর নবীকৃত রূপের উদ্বোধন করবেন।
পশ্চিমবঙ্গের মোট ১০০টি স্টেশনকে ‘অমৃত ভারত স্টেশন যোজনা’র আওতায় আধুনিক রূপে গড়ে তোলা হচ্ছে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য স্টেশনগুলিকে যাত্রীবান্ধব রূপে গড়ে তোলা, সহজ প্রবেশাধিকারের ব্যবস্থা করা এবং পরিবেশবান্ধব পরিকাঠামো গড়ে তোলা। ফলে শুধু যাত্রীসুবিধাই নয়, অঞ্চলভিত্তিক অর্থনৈতিক বিকাশও ত্বরান্বিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
জয়চণ্ডী পাহাড় স্টেশন পুরুলিয়া জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন, যা আদ্রা মণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত। যাত্রীবাহী ট্রেন হোক বা পণ্যবাহী মালগাড়ি, উভয়ের জন্যই এটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। রেলের দাবি, এই স্টেশনের উন্নয়ন রেকর্ড সময়ে সম্পন্ন হয়েছে।
নবনির্মিত জয়চণ্ডী পাহাড় স্টেশনে চালু হয়েছে একাধিক আধুনিক সুবিধা—
লিফট, নতুনভাবে নির্মিত ও সজ্জিত স্টেশন চত্বর, বিশ্রামাগার, ডরমিটরি, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ওয়েটিং রুম এবং অনিন্দ্য সুন্দর গ্রানাইটে নির্মিত প্ল্যাটফর্ম।
বিশেষভাবে দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে প্রবীণ নাগরিক ও বিশেষভাবে সক্ষম যাত্রীদের জন্য। তৈরি হয়েছে র্যাম্প। গড়ে তোলা হয়েছে জল কিয়স্ক, পরিচ্ছন্ন শৌচাগার এবং সংরক্ষিত টিকিট কাউন্টার।স্টেশন চত্বর সাজিয়ে তোলা হয়েছে মধুবনী চিত্রকলা দিয়ে। পাশাপাশি পার্কিং-এর রাস্তা চওড়া করা হয়েছে প্রধান প্রবেশ রাস্তা সংস্কারের কাজও সম্পন্ন হয়েছে।
এই উন্নয়ন কাজগুলি তুলে ধরতে একটি মিডিয়া ট্যুরেরও আয়োজন করা হয়। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা, রেলপ্রেমী ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সসাররা এতে অংশগ্রহণ করেন। তাঁরা স্টেশনে চালু হওয়া নতুন সুবিধাগুলি ঘুরে দেখেন এবং বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেন।
‘অমৃত ভারত স্টেশন যোজনা’-র মাধ্যমে দেশের রেলস্টেশনগুলির নতুন রূপ দেশের উন্নয়নের প্রতীক হয়ে উঠছে। জয়চণ্ডী পাহাড় স্টেশনের নতুন চেহারা সেই উন্নয়নের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
Post Comment