নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া :
অঝোর শ্রাবণে পৌর কর্মীদের রেইনকোট দেওয়া নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে তীব্র গোষ্ঠী সংঘাতের ছবি সামনে এল পুরুলিয়া পৌরসভায়। বর্ষায় কাজ করতে গিয়ে বহু বছর ধরে ভিজে ভিজে কাজ করতে হত, ভুগতে হত সর্দি-জ্বরে— জানালেন সাফাইকর্মী ইন্দ্রজিৎ দাস। সাফাইকর্মী নারায়ণ ধীবরের বক্তব্য, ‘‘এবার অন্তত কাজে সুবিধে হবে। প্রথমবার রেইনকোট পেয়ে আমরা খুশি।’’
কিন্তু এই খুশির আড়ালেই শাসক দলের অন্দরে জমেছে অস্বস্তির কালো মেঘ। তৃণমূল কাউন্সিলর বিভাস দাস, রবি শঙ্কর দাস প্রমুখের অভিযোগ, “বোর্ড মিটিং ছাড়াই, কোনওরকম টেন্ডার ছাড়া একতরফা সিদ্ধান্তে রেইনকোট বিতরণ হয়েছে। কোন তহবিল থেকে টাকা এল? বাজেট কত? কতজন কর্মীকে রেইনকোট দেওয়া হয়েছে— কিছুই জানি না আমরা। কাউন্সিলরদের অন্ধকারে রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
এই অবস্থাকে হাতিয়ার করে সরব হয়েছে বিজেপি। দলের জেলা সহ সভাপতি গৌতম রায়ের কটাক্ষ, “মানুষের উন্নয়ন নয়, পুরসভার লক্ষ্য এখন কাটমানি আর ভাগ বাঁটোয়ারা। রেইনকোট কেলেঙ্কারিতে কিছু কাউন্সিলর ভাগ না পেয়েই মুখ খুলছেন। যারা পেয়েছেন, তারা চুপ করে বসে রয়েছেন। তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি হওয়া উচিত।”
এদিকে, পুরুলিয়া পৌরসভার পৌরপ্রধান নবেন্দু মাহালি জানিয়েছেন, “বাজেটের হিসেব এখনও ঠিক হয়নি, বিলও সাবমিট হয়নি। তবে বর্ষায় কর্মীরা সমস্যায় পড়ছিলেন, তাই এই প্রথমবার রেইনকোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত। কাউন্সিলরদের আমার সঙ্গে কথা বললেই চলত, সংবাদমাধ্যমে অভিযোগ করে পরিস্থিতি জটিল করছেন তাঁরা।”











Post Comment