insta logo
Loading ...
×

পুলিশ-বনদফতর সমন্বয়ে বৃক্ষরোপণে পরিবেশ রক্ষার বার্তা

পুলিশ-বনদফতর সমন্বয়ে বৃক্ষরোপণে পরিবেশ রক্ষার বার্তা

নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া:

পুলিশ ও বনদফতরের যৌথ উদ্যোগে শুক্রবার বেলগুমা পুলিশ লাইনে পালিত হলো বনমোহৎসব। পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে এই উৎসবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরুলিয়া বনবিভাগের ডিএফও অঞ্জন গুহ, এডিএফও সায়নী নন্দী সহ জেলা পুলিশের অন্যান্য আধিকারিকরা।

এই বনমোহৎসবের মূল উদ্দেশ্য ছিল বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে পরিবেশ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং আগামী প্রজন্মকে সবুজ ও সুস্থ পৃথিবী উপহার দেওয়া। অনুষ্ঠানে প্রায় ৫০-৬০ টা চারাগাছ রোপন করা হয়। যাদের মধ্যে সবই দেশীয় গাছ। যেমন -রক্ত চন্দন, শ্বেত চন্দন ,পলাশ, আমলকি।

বৃক্ষরোপণ শুধুমাত্র প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধির উপায় নয়। এটি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এতে বাতাসে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, বায়ু দূষণ হ্রাস পায়, মাটির ক্ষয় রোধ হয় এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষিত হয়। সেই সঙ্গে সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষকে এই উদ্যোগে শামিল করে একটি সমন্বিত পরিবেশ আন্দোলনের বার্তা দেওয়া হয়।এডিএফও সায়নী নন্দী বলেন, “এই বনমোহৎসব কেবল প্রতীকী নয়, এটি একটি বার্তা — পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় আমাদের সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসতে হবে। বৃক্ষরোপণ শুধু প্রাকৃতিক নয়, এটি সামাজিক দায়িত্বও। গাছ শুধু অক্সিজেনই দেয় না, বরং মাটি ধরে রাখে, বায়ু দূষণ রোধ করে এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষা করে। এই ধরনের অনুষ্ঠান জেলার অন্যান্য এলাকায়ও করা হবে। আমরা চাই প্রতিটি থানা চত্বরে ও স্কুল-কলেজেও এ ধরনের উদ্যোগ হোক।”

তিনি আরও জানান, আগামী দিনে জেলার বিভিন্ন থানা চত্বর, বিদ্যালয়, স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং জনবহুল এলাকায় এই ধরনের বনমোহৎসব ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি আয়োজন করা হবে।
এই উদ্যোগে স্থানীয় মানুষের অংশগ্রহণও ছিল চোখে পড়ার মতো। পরিবেশ সংরক্ষণের এমন উদ্যোগ আগামী দিনেও চলবে বলে আশাবাদী পুলিশ ও বনদফতরের আধিকারিকরা। সব মিলিয়ে এক গঠনমূলক ও সচেতনতার বার্তা বহনকারী অনুষ্ঠান হিসেবে এই বনমোহৎসব জেলার মানুষকে পরিবেশ রক্ষায় অনুপ্রাণিত করবে বলেই মনে করছেন অনেকেই।

Post Comment