সুইটি চন্দ্র, পুরুলিয়া:
পুজোর আগে শেষ রবিবারে কেনাকাটায় বিপুল
লক্ষ্মীলাভ পুরুলিয়া শহরে। শহরের কাপড় গলি থেকে বিভিন্ন শপিং মল, সিটি সেন্টারে উপচে পড়ে ক্রেতার ভিড়। শাড়ি, পাঞ্জাবি, কসমেটিক্স সব ক্ষেত্রেই রেকর্ড পরিমাণ বিক্রি হয়।
শাড়িতে ট্র্যাডিশনালের বিক্রি বাটাই সবচেয়ে বেশি হয়। শহর পুরুলিয়ার সিটি সেন্টারের এক শাড়ির বিপণির ম্যানেজার বিজয় নন্দী বলেন, “এত ক্রেতা আসছে যে সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। গত রবিবার
আমাদের প্রায় ৩ লাখ টাকা বিক্রি হয়।” অন্যদিকে কসমেটিক্স ব্যবসায়ী প্রমোদ দত্ত জানান, “শহরের কসমেটিক্স দোকানেও বিক্রিবাটা চোখে পড়ার মতো।” নতুন ডিজাইনের শাঁখার চাহিদা এবার ব্যাপক।
শহরের এক পাঞ্জাবি দোকানে রবিবার প্রায় ৫০ হাজার টাকার বিক্রি হয়। কাঁথা স্টিচ ও জমিদারি ডিজাইনের পাঞ্জাবির চাহিদা বেশি। ওই পাঞ্জাবি দোকানের কর্ণধার শঙ্করচন্দ্র জানান, “বড়দের তিনটি পাঞ্জাবি কিনলে বাচ্চাদের একটা ফ্রি দেওয়া হচ্ছে।” ফলে
ক্রেতাদের উৎসাহ ছিলো তুঙ্গে। পুরুলিয়া শহরের কাপড়গলিতে কেনাকাটা করতে আসা উৎসা মালাকার বলেন, “পুজোর আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। কিন্তু কেনাকাটা যেন শেষই হচ্ছে না।”
তবে শহরের বাইরে ছবিটা একেবারেই উল্টো। শিল্পাঞ্চল রঘুনাথপুর ও রেলশহর আদ্রায় কলকারখানার শ্রমিক ও রেল কর্মীরা এখনও বোনাস না পাওয়ায় সেভাবে উৎসবের আনন্দে শামিল হতে পারছেন না। একদিকে পুরুলিয়া শহরের ব্যবসায়ীরা রেকর্ড বিক্রিতে খুশি। অন্যদিকে শ্রমিক-কর্মীদের জীবনে এখনও পুজোর আলো পৌঁছয়নি।
Post Comment