insta logo
Loading ...
×

পুরুলিয়ায় ফের কৃষিকাজে গতি, নিম্নচাপ কাটতেই রৌদ্রোজ্জ্বল দিন, কৃষক মহলে স্বস্তি

পুরুলিয়ায় ফের কৃষিকাজে গতি, নিম্নচাপ কাটতেই রৌদ্রোজ্জ্বল দিন, কৃষক মহলে স্বস্তি

নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া :

লম্বা অপেক্ষার পরে অবশেষে স্বস্তির বার্তা। এক মাস পর শরৎকালের মতোই রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া ফিরল পুরুলিয়ায়। নিম্নচাপ পুরোপুরি কাটিয়ে উঠেছে জেলা। কৃষকদের মুখে হাসি, বিশেষ করে যাঁরা এখনও পর্যন্ত বীজতলা তৈরি করেননি কিংবা সাবেকি পদ্ধতিতে চাষে নামার অপেক্ষায় ছিলেন।

জেলা কৃষি দপ্তর জানিয়েছে, আবহাওয়া বর্তমানে কৃষিকাজের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। বীজতলা তৈরি করতে যাঁরা অপেক্ষা করছিলেন, এখনই তাঁদের উপযুক্ত সময়। রোদের উপস্থিতি বীজতলার অঙ্কুরোদগমে সহায়ক হবে। অনেক এলাকায় ইতিমধ্যে ঘরের ভিতরেই বীজ অঙ্কুরিত করে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে, যেমনটা বোরো ধানের ক্ষেত্রে করা হয়। তবে সাবেক পদ্ধতিতে খোলা জমিতে বীজতলা তৈরিতে রোদই ভরসা। এখন সেই আবহাওয়াই দেখা দিয়েছে।

শুক্রবার জেলার বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল খুবই সামান্য। জেলাজুড়ে মোট ১৩টি পরিমাপকেন্দ্রের মধ্যে ৯টিতেই বৃষ্টির পরিমাণ ছিল শূন্য। শুধুমাত্র হুড়ায় ৪৭.২ মিলিমিটার, পুঞ্চায় ৬.৮ মিলিমিটার, মানবাজার ও বরাবাজারে ৫.০ মিলিমিটার করে বৃষ্টিপাত হয়েছে। গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৪.৯২ মিলিমিটার।

জেলার তাপমাত্রাও ছিল কৃষিকাজের পক্ষে অনুকূল। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর সর্বনিম্ন ২৫.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই আবহাওয়ায় চাষের কাজে গতিও বাড়বে, মত কৃষি আধিকারিকদের।

জেলা কৃষি দপ্তর বলছে , “যাঁরা এখনও বীজতলা তৈরি করেননি, তাঁদের জন্য এখন উপযুক্ত সময়। আকাশ পরিষ্কার থাকলে দ্রুত ধানের চারা প্রস্তুত করা সম্ভব হবে। যারা পুরনো পদ্ধতিতে কাজ করেন, রোদ তাঁদের খুবই প্রয়োজন। এই পরিস্থিতি বজায় থাকলে কয়েকদিনের মধ্যেই বড় অংশের কৃষি জমিতে কাজ শুরু হয়ে যাবে।”

একটানা বৃষ্টির পরে আবহাওয়ার এই পরিবর্তন পুরুলিয়ার কৃষি নির্ভর অর্থনীতির পক্ষে বড় স্বস্তির কারণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

Post Comment